ইনু-মেনন-আনিসুল-সালমান আবার রিমান্ডে
Published: 20th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে জিসান ও মেহেদী হাসানকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা দুই মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, জিসান হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.
সোমবার সকালে ওই আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা প্রত্যেক মামলায় আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
জিসান হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেন জিসান। এ সময় আসামিদের গুলিতে নিহত হন তিনি।
মেহেদী হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেন মেহেদী হাসান। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে আহত হন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান তিনি।
এর আগেও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় উল্লিখিত আসামিদের কয়েক দফায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা