উঠে গেল ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা। ফলে এখন থেকে বিদেশ ভ্রমণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে না। দাপ্তরিক প্রয়োজনে নিজ নিজ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
 বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করা হয়। 

নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২৪ সালের ১১ জুন এক সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংক-কোম্পানির অর্থায়নে প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণের জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকের বিদেশ ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী নিজ নিজ ব্যাংকের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারতেন।

এমন পরিস্থিতিতে নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে দাপ্তরিক প্রয়োজনে ব্যাংকের বিদেশ ভ্রমণের নীতিমালা মেনে নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেশের বাইরে যেতে পারবেন।

ঢাকা/এনএফ/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব দ শ ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ