মধ্যরাতে ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’ স্লোগানে উত্তাল ঢাবি
Published: 20th, January 2025 GMT
কোটা সিস্টেম অব্যাহত রেখে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার অভিযোগে ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’ স্লোগানে আবারও মুখরিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা চালু রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা আবারও ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটা প্রথার কবর দে’সহ নানা স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী আসিফ খান বলেন, “যে কোটার জন্য দুই হাজারেরও অধিক মানুষ জীবন দিয়েছে, যে কোটার জন্য হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানি হয়েছে, সেই কোটা এখনো বহাল আছে- এর চেয়ে নিন্দনীয় ঘটনা আর কি হতে পারে। অন্তবর্তীকালীন সরকার কি ভুলে গেছে যে তারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।”
তিনি বলেন, “একজন ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ পেয়ে চান্স পায়না আর একজন ৪৪ পেয়ে কিভাবে চান্স পায়। এধরনের বৈষম্য এখনও দেখতে হচ্ছে। সংবিধান সংস্কারের আগে কোটা সংস্কার করতে হবে। যদি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কোটা সরিয়ে না নেওয়া হয় ছাত্র সমাজ আবারও রাজপথে নামবে।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মিম বিনতে আলমগীর বলেন, “যে কোটার জন্য এত আন্দোলন এত রক্ত সেই মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য কোটার ফলে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে, অযোগ্যরা সুযোগ পাচ্ছে। এই কোটা পদ্ধতিকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেলের সেল সম্পাদক জাহিদ আহসান বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিলো কোটা সংস্কার আন্দোলন। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কোটা প্রথার পতন হয়েছে কিন্তু মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যে কোটা ব্যবস্থা আমরা দেখলাম এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। এই কোটা ব্যবস্থাকে আমরা আবারও নিন্দা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
এ সময় শিক্ষার্থীরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে সেটি বাতিল করে নতুন করে আবারও ফলাফল প্রকাশের জন্য জোর দাবি জানান।
ঢাকা/সৌরভ/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য় র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অস্কার মঞ্চে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরলেন অশ্রুসিক্ত জো
জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। এবারের আসরে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগের পুরস্কার জিতেছেন আমেরিকান তারকা জো সালদানা। ‘এমিলিয়া পেরেজ’ চলচ্চিত্রে একজন আইনজীবীর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে এই স্বীকৃতি উঠেছে তাঁর হাতে।
স্প্যানিশ-ভাষার সংগীতনির্ভর ছবিটি পরিচালনা করেছেন ফ্রান্সের জ্যাক অঁদিয়ার। অস্কারের মতো এমন অর্জন হাতে নেওয়ার পর অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী।
মঞ্চে উঠে আবেগাপ্লুত জোয়ি তাঁর মাকে স্মরণ করেন এবং ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর সব শিল্পী ও কলাকুশলীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি শিল্প জগতে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমার দাদি ১৯৬১ সালে এই দেশে এসেছিলেন। আমি গর্বিত একজন অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান, যারা স্বপ্ন, সম্মানবোধ ও কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছেন। আমি ডোমিনিকান বংশোদ্ভূত প্রথম আমেরিকান, যে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছে। আমি জানি, আমি শেষ ব্যক্তি নই। আমি আশা করি, এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই চরিত্রে আমি গান গাওয়ার ও স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। যদি আমার দাদি আজ বেঁচে থাকতেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হতেন।’
তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে দিলেন যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কঠোর আগ্রাসন চালাচ্ছে।
চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ একাডেমি পুরস্কার তথা অস্কারের আয়োজন চলছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউডের ডলবি থিয়েটারে। অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়। আয়োজনের প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছেন আমেরিকান অভিনেতা কিয়েরান কালকিন। ‘আ রিয়েল পেইন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।
অন্যদিকে, এবার সেরা অ্যানিমেশন ছবি (স্বল্পদৈর্ঘ্য) হিসেবে ‘ইন দ্য শ্যাডো অব সাইপ্রেস’, ফিচার অ্যানিমেশন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ‘ফ্লো’। সেরা মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইল বিভাগে পুরস্কার জিতেছে গেল বছরের অন্যতম আলোচিত ছবি ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’।
সেরা অ্যাডাপ্ট চিত্রনাট্যর পুরস্কার পেয়েছে আলোচিত ছবি ‘কনক্লেভ’। এছাড়া পল ট্যাজওয়েল ‘উইকেড’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পোশাক পরিকল্পনাকারী এবং শন বেকার ‘আনোরা’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছেন।