শরীর ফিট রাখতে অনেকেই অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। সঠিকভাবে খাবার না খাওয়ার কারণে এতে অনেকের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কেউ কেউ আবার চেষ্টা করেও ওজন বাড়াতে পারে না। যারা ওজন বাড়াতে চান তারা স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার বেছে নিতে পারেন। যেমন-

কলা: কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল কলা এবং সাধারণ কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটি লাল কলা খেলে ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। লাল কলা খেতে ভালো না লাগলে প্রতিদিন সকালে দুধের সাথে চিনি মিশিয়ে মিল্কশেক হিসেবে খেতে পারেন। একইভাবে, ওজন কম থাকা বাচ্চাদের সাধারণ কলা খাওয়ানো যেতে পারে। এটি তাদের ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

দুগ্ধজাত খাবার: দই, দুধ, পনির, মাখন ইত্যাদি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এটি শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। চাইলে ওজন বাড়াতে প্রতিদিন খাবারে মাখন যোগ করতে পারেন। রুটিতে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। অন্যান্য খাবারেও ঘি এর পরিবর্তে মাখন ব্যবহার করতে পারেন। 

মাছ-মাংস: যারা ওজন বাড়াতে চান, তারা ভাজা মাছ, খাসির মাংস, মুরগি, চিংড়ি, গরুর মাংস ইত্যাদি খেতে পারেন। বিশেষ করে প্রতিদিন সকালে ডিম খান। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে চর্বি এবং ক্যালোরি থাকে, তাই প্রতিদিন দুটি ডিম খাওয়া উচিত। যদি ডিম খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়, তাহলে পেঁয়াজ দিয়ে অমলেট বানিয়ে খান। দেশি মুরগি সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও আলু, ফল, সবজি, বাদাম ইত্যাদি বেশি করে খান। এগুলি ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।

তিল: রোগা ব্যক্তিদের জন্য তিল উপকারী। তিলে তৈরি খাবার খেলে ওজন বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। রোগা ব্যক্তিরা প্রতিদিন অন্তত একবেলা তিল খেলে ওজন বাড়বে। একইভাবে, সপ্তাহে একবার তিলের তৈরি খাবার খান।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ওজন ব ড উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ