ওজন বাড়াতে উপকারী যেসব স্বাস্থ্যকর খাবার
Published: 20th, January 2025 GMT
শরীর ফিট রাখতে অনেকেই অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। সঠিকভাবে খাবার না খাওয়ার কারণে এতে অনেকের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কেউ কেউ আবার চেষ্টা করেও ওজন বাড়াতে পারে না। যারা ওজন বাড়াতে চান তারা স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার বেছে নিতে পারেন। যেমন-
কলা: কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল কলা এবং সাধারণ কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটি লাল কলা খেলে ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। লাল কলা খেতে ভালো না লাগলে প্রতিদিন সকালে দুধের সাথে চিনি মিশিয়ে মিল্কশেক হিসেবে খেতে পারেন। একইভাবে, ওজন কম থাকা বাচ্চাদের সাধারণ কলা খাওয়ানো যেতে পারে। এটি তাদের ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
দুগ্ধজাত খাবার: দই, দুধ, পনির, মাখন ইত্যাদি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এটি শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। চাইলে ওজন বাড়াতে প্রতিদিন খাবারে মাখন যোগ করতে পারেন। রুটিতে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। অন্যান্য খাবারেও ঘি এর পরিবর্তে মাখন ব্যবহার করতে পারেন।
মাছ-মাংস: যারা ওজন বাড়াতে চান, তারা ভাজা মাছ, খাসির মাংস, মুরগি, চিংড়ি, গরুর মাংস ইত্যাদি খেতে পারেন। বিশেষ করে প্রতিদিন সকালে ডিম খান। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে চর্বি এবং ক্যালোরি থাকে, তাই প্রতিদিন দুটি ডিম খাওয়া উচিত। যদি ডিম খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়, তাহলে পেঁয়াজ দিয়ে অমলেট বানিয়ে খান। দেশি মুরগি সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও আলু, ফল, সবজি, বাদাম ইত্যাদি বেশি করে খান। এগুলি ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
তিল: রোগা ব্যক্তিদের জন্য তিল উপকারী। তিলে তৈরি খাবার খেলে ওজন বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। রোগা ব্যক্তিরা প্রতিদিন অন্তত একবেলা তিল খেলে ওজন বাড়বে। একইভাবে, সপ্তাহে একবার তিলের তৈরি খাবার খান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।