বিতর্ক মাথায় নিয়েই বিগ বসের বিজয়ী করন
Published: 20th, January 2025 GMT
ভারতের জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’। বিতর্ক মাথায় নিয়ে এই প্রতিযোগিতার ১৮তম আসরে বিজয়ী হয়েছেন বলিউড অভিনেতা করন বীর মেহরা। ১০৪ দিন বিগ বসের ঘরে নানা নাটকীয়তার পর বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেন ৪৬ বছরের করন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় বিগ বসের এবারের আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে। এতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক সালমান খান। ট্রফির পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে করন বীর মেহরা পেয়েছেন ৫০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০ লাখ ৩২ হাজার টাকার বেশি)।
পাঁচ প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিগ বসের এবারের আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে। তারা হলেন— করণ বীর মেহরা, অবিনাশ মিশ্রা, ঈশা সিং, ভিভিয়ান ডিসেনা, চুম দারাং, রজত দালাল। এ প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট রানার-আপ নির্বাচিত হয়েছেন ভিভিয়ান ডিসেনা, দ্বিতীয় রানার-আপ ইউটিউবার রজত দালাল।
আরো পড়ুন:
আহত সাইফ আলী খানকে দেখতে মুম্বাইয়ে শাকিব?
সাইফের হামলাকারী বাংলাদেশি, পুলিশের এই অভিযোগ মিথ্যা: আইনজীবী
গ্র্যান্ড ফিনালের আগেই খবর রটেছিল অর্থ দিয়ে ভোট কিনেছেন করন। বিজয়ের পর এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইন্ডিয়া টুডেকে করন বীর মেহরা বলেন, “আমার যদি এতই টাকা থাকত তবে এই শোয়ে আসার প্রয়োজন হতো না। মিডিয়া কেনা যায়, এটা আপনি কল্পনা করতে পারেন! রেসে হেরে গেলে যে কেউ অজুহাত দেয়, তার জুতার ফিতা খুলে গিয়েছিল। মানুষ নানা ধরনের কথা বলবেই, এটা যেকোনো খেলারই অংশ।”
বিগ বসের এবারের সিজনের শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন করন বীর মেহরা। অনেকে এটিকে ‘করন বীর মেহরা শো’ বলেও মন্তব্য করেছেন। করন বীর মেহরা বলেন, “সবসময় আমার লক্ষ্য সেরাটাই ছিল। তবে সবকিছুই ভাগ্যের উপরে নির্ভর করে। তারপরও সেরাটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। আমি অনেক কঠিন সময় পার করেছি। প্রযোজকদের কাছে কাজ চেয়ে অপমানিত হয়েছি। এখন আমার ভক্তরা যদি আমাকে সাপোর্ট করেন, তবে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ