পরিবেশ আইন অমান্য করায় দুই সিমেন্ট কোম্পানিকে জরিমানা
Published: 20th, January 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জে পরিবেশ আইন অমান্য করায় দুই সিমেন্ট কোম্পানিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় স্ক্যান ও মেট্রোসেম সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও খোলা অবস্থায় কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় মেট্রোসেম সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ১৫ ধারা এবং বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২ এর ১৭ বিধি মতে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড করা হয়।
খোলা অবস্থায় কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় স্ক্যান সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২ এর ১৭ বিধি মতে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত মোবাইল কোর্ট।
এছাড়া, তিন মাসের মধ্যে বায়ু দূষণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। কোম্পানির পক্ষে সংশ্লিষ্ট জেনারেল ম্যানেজারকে এই দণ্ড আরোপ করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.
পরিবেশের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী জাকির হোসেন বলেন, ‘‘পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায়, খোলা অবস্থায় কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় মেট্রোসেম ও স্ক্যান সিমেন্ট কোম্পানিকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট।’’
ঢাকা/রতন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন পর ব শ পর ব শ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাগবি, অ্যাথলেটিকস, বক্সিং, ফুটবলের পর ক্রিকেট—কোন খেলায় নেই তিনি
‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র।’
জেমস থমাসের নিশ্চয়ই সুনির্মল বসুর কবিতা পড়া নেই। পড়া থাকলে কবিতার এই লাইনকে খানিকটা ঘুরিয়ে নিজের মতো করে তিনি বলতে পারেন, ‘খেলার ভুবন পাঠশালা মোর, সব খেলার আমি ছাত্র।’
কেন? সে কথা বলতে গিয়ে সবার আগে জানিয়ে রাখা ভালো, ৪২ বছর বয়সী এই ভদ্রলোক এখন নিজে আর খেলেন না। কিন্তু খেলাধুলার জগতে বিভিন্ন ক্লাব বা সংস্থা পরিচালনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর মজাটাও ঠিক এখানেই। নিজে ছিলেন পেশাদার রাগবি খেলোয়াড়। সেখান থেকে পা রাখেন ক্রীড়া শিক্ষকতায়। তারপর ব্যবস্থাপক হিসেবে অ্যাথলেটিকস দিয়ে শুরু করে বক্সিং, জুডো ও জিমন্যাস্টিকস হয়ে এখন ফুটবল দুনিয়ায়। তবে এখানেই থাকছেন না; সামনে তাঁর পা পড়তে যাচ্ছে ক্রিকেটেও।
অর্থাৎ থমাসের পেশাদার কাজকর্ম শেখা বা করার পাঠশালা কোনো নির্দিষ্ট একটি খেলা নয়, বরং খেলাধুলার পুরো জগৎই। আর কে না জানে, যেকোনো কাজে জড়ালেই সেখান থেকে যেমন কিছু না কিছু শেখা যায়, তেমনি বিভিন্ন খেলায় মাঠের বাইরের কাজকর্ম থেকে থমাসও তো কিছু না কিছু শিখছেন!
সেই পথে থমাসের পা এখন ক্রিকেটে পড়ার অপেক্ষায়। ভদ্রলোক আপাতত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির পারফরম্যান্স ডিরেক্টর। আগামী জুনে সিটি ছেড়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল ওয়ারউইকশায়ারের পারফরম্যান্স ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেবেন। ওয়ারউইকশায়ার তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেছে, টমাস ‘খেলাধুলার অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় হাইপারফরম্যান্স বিশেষজ্ঞ’
ইংল্যান্ডের নর্থইস্ট থেকে উঠে আসা থমাস রাগবি খেলেছেন লিডসে। ২০০৪ সালে বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পোর্টিং এক্সিলেন্সে শিক্ষক হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে থমাস ওয়েলশ অ্যাথলেটিকসে পারফরম্যান্স পাথওয়েজ ম্যানেজারের দায়িত্ব পান। এরপর ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন হুইলচেয়ার রাগবির সঙ্গেও নিজেকে জড়ান টমাস। সেখানে হেড অব অপারেশনসের দায়িত্বে ছিলেন।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ওয়েলস অ্যামেচার বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনে পারফরম্যান্স ডিরেক্টরের পদ সামলান টমাস। সেখান থেকে ব্রিটিশ জুডো অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দিয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পারফরম্যান্স পাথওয়ের সিনিয়র ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০২২ সাল পর্যন্ত সেখানে স্পোর্টস কনসালট্যান্সির পদও ধরে রেখেছিলেন থমাস। এর মধ্যেই আবারও অন্য খেলার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। এবার ব্রিটিশ জিমন্যাস্টিকসের পারফরম্যান্স ডিরেক্টর, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন থমাস।
ব্রিটিশ জিমন্যাস্টিকসেও ছিলেন জেমস টমাস