স্কুলছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির মো. জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গতকাল দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা জুয়েল রানা চৌহালী উপজেলার সম্ভুদিয়া ইউনিয়নের চর-সলিমাবাদ গ্রামের আব্দুল খালেক ঝুনু ফকিরের ছেলে।

র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘চৌহালী থানায় দায়ের হওয়া স্কুলছাত্রকে যৌন নির্যাতনের মামলায় জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

চৌহালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ‘‘মামলার পর থেকেই জুয়েল রানা পলাতক ছিলেন। গতকাল র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তারের পর থানায় পাঠিয়েছিল। আমরা আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছি।’’

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রকে যৌন নির্যাতন করেন জুয়েল রানা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে জুয়েল রানাকে শোকজ ও পরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ