সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৮ জনকে নতুন করে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।

সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক ছাড়া বাকিরা হলেন- সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা.

দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এদিন সকালে আসামিদের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখান।

এরমধ্যে সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার ৪টি ও মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায়, আনিসুল হককে যাত্রাবাড়ী থানার ৭টি, মোহাম্মদপুর থানার একটি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায়, ডা. দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি মামলায়, জুনাইদ আহমেদ পলককে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি ও সূত্রাপুর থানার একটি মামলায়, রাশেদ খান মেননকে যাত্রাবাড়ী থানার ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

এছাড়া হাসানুল হক ইনুকে যাত্রাবাড়ী থানার ৫টি মামলায়, হাজী সেলিমকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ী থানার ৬টি, মোহাম্মদপুর থানার ২টি, সূত্রাপুর থানার ২টি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ড দ প মন থ ন র একট মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ