Risingbd:
2025-01-31@10:49:30 GMT

ট্রাম্পের শপথ আজ

Published: 20th, January 2025 GMT

ট্রাম্পের শপথ আজ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ সোমবার শপথ গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে মার্কিন পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে ক্যাপিটল রোটান্ডা হলে।

আজ শপথ গ্রহণের পর দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। কারণ মার্কিন রাজনীতিতে একবার হোয়াইট হাউস ছেড়ে গেলে চার বছর পর ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হয়। তবে এই ধারণা পাল্টে আজ আবারো শপথ নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। ট্রাম্পকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন মার্কিন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এরপর দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবার ভাষণ দেবেন ট্রাম্প।

আরো পড়ুন:

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো টিকটক 

এবারের শপথ অনুষ্ঠান নানা দিক থেকে বিশেষ হতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এবার ইনডোরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন করা হলো। মার্কিন হাওয়া অফিস বলছে, সোমবার শৈত্যপ্রবাহের শিকার হতে চলেছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। তাপমাত্রা থাকতে পারে মাইনাস ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিজুড়ে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। অনুষ্ঠানে বিশ্বের অনেক সরকারপ্রধান ও রাজনীতিবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মাইলি ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। শপথ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতিনিধিত্ব করার কথা দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং-এর। 

টেসলার ইলন মাস্ক, মেটার মার্ক জাকারবার্গ, অ্যামাজনের জেফ বেজোস, অ্যাপলের টিম কুক, টিকটকের শু চিউ এবং গুগলের সুন্দর পিচাইয়ের মতো শিল্পপতিরা থাকছেন ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে।

২০২১ সালে জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে নজিরবিহীনভাবে অনুপস্থিত ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই বাইডেনই শুধু নন, ট্রাম্পের শপথ প্রত্যক্ষ করবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামাও। এমনকি ট্রাম্প যাকে নির্বাচনে হারিয়েছেন সেই কমলা হ্যারিসেরও উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল।

এরই মধ্যে ট্রাম্প ওয়াশিংটনে এসে পৌঁছেছেন। শপথ অনুষ্ঠানের আগে তিনি রাজধানীতে ক্যাম্পেইন স্টাইলে একটি সমাবেশ করেছেন। সেখানে তিনি একটি ভাষণও দিয়েছেন। এতে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি, টিকটক, প্রথম দিনের কার্যক্রম ও সফর নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথম দিনই রেকর্ড সংখ্যক নির্বাহী আদেশ জারি করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অভিষেক ভাষণের পরপরই এসব আদেশ জারির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ট্রাম্প জানান, ঠিক কতগুলো আদেশ জারি করবেন তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে তিনি বলেন, ‘সংখ্যাটি রেকর্ড ভাঙবে।’ ১০০’র বেশি হতে পারে কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, অন্তত ওই সংখ্যার মধ্যেই থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শপথ গ রহণ করব ন র শপথ

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ