জোড়া গোল করে রিয়ালকে শীর্ষে তুললেন এমবাপ্পে
Published: 20th, January 2025 GMT
লাস পালমাসের বিপক্ষে দারুণ জয়ের পথে জোড়া গোল করলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রোববার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৪-১ গোলের এই জয় রিয়াল মাদ্রিদকে তুলে দিল লা লিগার শীর্ষে।
ম্যাচের শুরুটা ছিল চমকপ্রদ। মাত্র ২৫ সেকেন্ডেই সান্দ্রোর ক্রস থেকে ফ্যাবিও সিলভা গোল করে এগিয়ে দেন লাস পালমাসকে। তবে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। ম্যাচের ১৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে রদ্রিগো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান এমবাপ্পে।
৩৩ মিনিটে ব্রাহিম দিয়াজের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এর ঠিক তিন মিনিট পর রদ্রিগোর ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এমবাপ্পে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-১ গোলের ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ ঘড়ি এক ঘণ্টা পেরোনোর আগেই রদ্রিগো চতুর্থ গোলটি করেন। এরপর লাস পালমাস ১০ জনের দলে পরিণত হয়। ৬৪ মিনিটে লুকাস ভাসকেজকে পা দিয়ে আঘাত করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বেনিতো রামিরেজ।
প্রায় আধঘণ্টা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি রিয়াল। তবে এই জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে তারা। বর্তমানে রিয়ালের পয়েন্ট ৪৬। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেটিকো মাদ্রিদ। তৃতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা পিছিয়ে আছে ৭ পয়েন্টে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’