দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার কারণে গত ৩ দিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইভান ভেলাসেকুয়েজ গতকাল রোববার বলেছেন, বিদ্রোহী ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (ইএলএন) সঙ্গে শান্তি আলোচনার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর উত্তর-পূর্ব কলম্বিয়ায় মাত্র তিন দিনে ৮০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ইএলএন গত বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্ব ক্যাটাটুম্বো অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ শুরু করে। ওই গোষ্ঠীটি এখন বিলুপ্ত সশস্ত্র গোষ্ঠী রেভ্যুলেশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) সাবেক সদস্যদের নিয়ে গঠিত। ২০১৭ সালে ফার্ক নিরস্ত্র হওয়ার পর থেকে তারা লড়াই চালিয়ে আসছিল।

আল জাজিরা বলছে, সংঘাতের মধ্যে বেসামরিক লোকেরা মাঝখানে আটকা পড়েন এবং রোববারের মধ্যে ‘৮০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন’ বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নর্তে দে সান্তান্ডার বিভাগের গভর্নর উইলিয়াম ভিলামিজার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কলম ব য় কলম ব য়

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মুরগির টাকা নিয়ে বিরোধ, হামলায় ক্রেতা নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুরগি বিক্রির বকেয়া টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ক্রেতা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

নিহত দিলদার মিয়া (৪৮) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি মনিরঘোনা স্টেশনে মুরগির ব্যবসা করতেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলি, গৃহবধূ নিহত

গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আব্দুল হাকিম দিলদার মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মুরগি কেনেন। দিলদার মিয়া পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কয়েকবার তাগাদা দিলেও আব্দুল হাকিম টাকা পরিশোধ করেননি।

সোমবার দুপুরে মনিরঘোনা মসজিদের সামনে আবারো পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দিলদার মিয়া ও আব্দুল হাকিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল হাকিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন মিলে দিলদার মিয়াকে মারধর শুরু করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী স্টেশনের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, ঘটনার পর থেকে আব্দুল হাকিমসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ