তিন বন্দির বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল
Published: 20th, January 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি রোববার কার্যকর হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান হয়েছে।
চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। বিনিময়ে কারাগার থেকে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সবাই নারী ও শিশু। আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
এর আগে রোববার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে হামাস রেড ক্রসের কাছে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে তুলে দেয়। পরে তাদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। হামাস বলছে, গাজা থেকে প্রতিজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এরপর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৮৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার ৭২৫ জন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অপরদিকে হামাসের আক্রমণে ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। হামাস ২০০ বন্দি করে নিয়ে আসে।
এদিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিন মুক্তিপ্রাপ্ত ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে রয়েছে খালিদা জারার নামের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিএফএলপি) নেতা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’