সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
Published: 20th, January 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় সশস্ত্র ডাকাত প্রতিরোধ অভিযানে নিহত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) হত্যার ঘটনায় পুলিশ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) চকরিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পুলিশ পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো.
সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছিল। একটি ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যাকাণ্ডে এবং অপরটি অস্ত্র আইনে। সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল হারুনুর রশীদ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যার মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলমগীর অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ ১৭ জনের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের নাম বাদ দিয়ে এজাহারভুক্ত নয় এমন ৭ জনের নাম যুক্ত করেছে। ফলে দুই মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার পূর্ব মাইজপাড়ায় মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন নির্মমভাবে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা/তারেকুর/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত চকর য
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।