সাইফের আগেও হামলার শিকার হয়েছেন যেসব তারকারা
Published: 20th, January 2025 GMT
হিন্দি সিনেমার অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার ঘটনায় বিস্মিত তার ভক্ত-অনুরাগীরা। গত ১৫ জানুয়ারি, দিবাগত মধ্যরাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে ‘রেস’ তারকার ওপরে হামলা করে এক দুর্বৃত্ত।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শরীরে একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে। সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। সাইফ আলী খান ছাড়াও বলিউডের বেশ কজন তারকা অভিনেতা-নির্মাতা হামলার শিকার হয়েছেন। এমন কজন তারকাকে নিয়ে এই প্রতিবেদন।
সঞ্জয় দত্ত
বলিউডের দাপুটে অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত হামলার শিকার হয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ের দাঙ্গার সময়ে ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হন ‘দাগ’খ্যাত এই অভিনেতা। কিন্তু অল্পের জন্য প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি। এরপরও বারবার হুমকি পেয়েছেন এই অভিনেতা।
রাকেশ রোশান
বলিউডের বরেণ্য পরিচালক, অভিনেতা-প্রযোজক রাকেশ রোশান। তার আরেক পরিচয় তিনি অভিনেতা হৃতিক রোশানের বাবা। ২০০০ সালে মুক্তি পায় রাকেশ রোশান নির্মিত হৃতিক রোশান অভিনীত ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা। বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলে সিনেমাটি; বিদেশেও প্রশংসা কুড়ায় এটি। এরপর আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ারা চেয়েছিল, হৃতিক রোশান যাতে তাদের সিনেমায় কাজ করে। কিন্তু রাকেশ রোশান তা প্রত্যাখ্যান করেন। একই বছর মুম্বাইয়ে তার অফিসের সামনে তাকে দুবার গুলি করা হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন রাকেশ রোশান। গুলিবিদ্ধ হলেও চিকিৎসার পর তার জীবন রক্ষা পায়।
গওহর খান
বলিউড অভিনেত্রী অভিনেত্রী গওহর খান। ২০১৪ সালের শেষের দিকে টিভি রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়া’স র স্টার’-এর শুটিং করার সময়ে আক্রমণের শিকার হন এই অভিনেত্রী। এ অনুষ্ঠানের দর্শক সারিতে থাকা ২৪ বছরের এক তরুণ গওহর খানকে থাপ্পড় মারেন। কারণ হিসেবে ওই তরুণ বলেছিলেন— “একজন মুসলিম নারী হয়ে এত ছোট পোশাক পরা তার উচিত হয়নি।” এ ঘটনার পর মামলা দায়ের হয় এবং ওই তরুণকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
সালমান খান
কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরে বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে লরেন্স বিষ্ণোই। গত বছরের ১৪ এপ্রিল ভোররাতে সালমান খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুই ব্যক্তি। বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহত হননি সালমান কিংবা তার বাড়ির কেউই। পরে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে বিষ্ণোই গ্যাং। তারপর সালমানের নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে।
রাভিনা ট্যান্ডন
মুম্বাইয়ের রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে তিন নারীকে ধাক্কা দিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠে বলিউড অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডনের গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে শারীরিক-মানসিক লাঞ্ছনার শিকার হন রাভিনা। গত বছরের ১ জুন দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটে। পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করেছিলেন এই ‘জিদ্দি’ তারকা।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য ইকোনোমিক টাইমস
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী