অভিষেক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে রাজধানী ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার তিনি ওয়াশিংটন পৌঁছান। আজ সেখানেই তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।

সোমবার স্থানীয় সময় ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে এই শপথের অনুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ শেষে সেদিনই রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর সিএনএন ও দ্য গার্ডিয়ানের

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাঠানো বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচে অবস্থিত রিপাবলিকান ঘাঁটিতে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভাঙ্কা এবং তাঁর স্বামী জ্যারেড কুশনার। সেখান থেকে ট্রাম্প তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভার্জিনিয়ায় তাঁর গলফ ক্লাবে যান। প্রায় ৫০০ অতিথির সংবর্ধনা এবং আতশবাজি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ উৎসব শুরু হয়।

এনবিসি নিউজকে এক সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করবেন। যদিও ঠিক কতগুলো আদেশে সই করবেন, তা এখনও ঠিক করা হয়নি বলে জানান তিনি। তবে সেটি রেকর্ডসংখ্যক হবে। তিনি যেসব নির্বাহী আদেশে সই করবেন, তার অনেকই বাইডেন প্রশাসনের গৃহীত নীতি বাতিল করতে করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ট্রাম্প শপথ নেওয়ার দু’দিন আগে ওয়াশিংটনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ, যাদের বেশির ভাগই নারী। এ কর্মসূচির নাম দ্য পিপলস মার্চ, যা আগে উইমেন্স মার্চ হিসেবে পরিচিত ছিল। এটা ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত হয়ে আসছে। কয়েকটি গ্রুপের একটি জোট এর আয়োজক। তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তারা ‘ট্রাম্পিজম’ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। এ ছাড়া নিউইয়র্ক ও সিয়াটলেও ট্রাম্পবিরোধী ছোটখাটো প্রতিবাদ হয়েছে বলে জানা গেছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শপথ গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ বছর আগের সেই দিনটা মনে আছে মোহাম্মদ সালাহর। লিভারপুল যখন ইতিহাসের ১৯তম লিগ শিরোপা জেতে। তখন চারপাশ ছিল শুনশান। স্টেডিয়ামে দর্শকেরা ছিলেন না, উচ্ছ্বাস ছিল না। কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতা একেবারেই ভিন্ন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ৫-১ গোলের বড় জয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অ্যানফিল্ড যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। কোচ আর্নে স্লট আর দলের তারকারা প্রায় এক ঘণ্টা মাঠেই কাটান সমর্থকদের ভালোবাসায় ভেসে।

ম্যাচ শেষে সালাহ বলেন, ‘‘ভক্তদের সামনে শিরোপা জেতার এই আনন্দই আলাদা। এটা ২০২০ সালের তুলনায় ১০০ গুণ ভালো। আমরা এখন একটা নতুন দল, তবুও আবার দেখিয়ে দিলাম—আমরা পারি। এটা সত্যিই অসাধারণ অনুভূতি।’’

আরো পড়ুন:

‘ভ্যান ডাইক ও সালহার চুক্তি নবায়ন উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফসল’

লিভারপুল ও সালাহার গল্প আরো দুই বছর চলবে

এদিন নিজের ২৮তম লিগ গোলটি করে আরেক ইতিহাস গড়েছেন সালাহ। ম্যানচেস্টার সিটির কিংবদন্তি সার্জিও আগুয়েরোকে পেছনে ফেলে তিনি এখন প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ বিদেশি গোলদাতা।

কোচ স্লটের প্রশংসাও ঝরেছে তার কণ্ঠে। সালাহ বলেন, ‘‘তিনি খুবই সৎ। যদিও ডাচরা সাধারণত একটু কঠিন প্রকৃতির হয়। তিনি আমাদের জীবনটা অনেক সহজ করে দিয়েছেন। আমি খুশি যে অ্যানফিল্ডেই এই শিরোপা জিতেছি।’’

নিজের ভূমিকার পরিবর্তন নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন সালাহ, ‘‘এখন আর আমাকে খুব বেশি ডিফেন্স করতে হয় না। আমি বলেছিলাম, 'ডিফেন্সে আমাকে একটু বিশ্রাম দিন, আক্রমণে আমি সব উজাড় করে দেব।' তিনি তা শুনেছেন, আর ফলাফল এখন সবাই দেখতে পাচ্ছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গেলে কিছুটা রক্ষণে সাহায্য করতেই হয়। তবে আমি বলেছিলাম, আক্রমণে যদি একটু ঝুঁকি নিই, তাহলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারব। আমার অ্যাসিস্টের সংখ্যাই তার প্রমাণ।’’

শেষদিকে সালাহ জানালেন, শিরোপা নিশ্চিত করার জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন এক বিশেষ মুহূর্তের জন্য, ‘‘আমি চাইনি আর্সেনাল বনাম ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে চ্যাম্পিয়ন হই। আমি চাইছিলাম, মাঠে থেকেই, সমর্থকদের সামনে শিরোপা নিশ্চিত করতে। আজ সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে।’’

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ