মিরপুরে বাটার শো রুমে আগুন নিয়ন্ত্রণে
Published: 20th, January 2025 GMT
রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বরে একটি বাটার শো রুমে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রোববার দিনগত রাত ১টা ২৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। পুরোপুরি আগুন নিভে যায় ৪টা ৫০ মিনিটে।
এর আগে এদিন রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কারে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জানান, রোববার দিনগত রাত ১টা ২৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। তবে পুরোপুরি আগুন নেভানো হয় গভীর রাত ৪টা ৫০ মিনিটে।
তিনি আরও জানান, মিরপুর ৬ নম্বরে একটি বাটার শো রুমে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভিন্ন ধরনের কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলেছে
রহস্যময় বস্তু কৃষ্ণগহ্বর। বিজ্ঞানীরা যত ধরনের কৃষ্ণগহ্বর শনাক্ত করেছেন, সব কটিরই সঙ্গী তারা দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে ছায়াপথে প্রথম একটি ভিন্ন ধরনের কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেয়েছেন, যেটা আসলে একা। নতুন খোঁজ পাওয়া এই কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গী কোনো তারা নেই। তারাহীন একা কৃষ্ণগহ্বরটি প্রায় পাঁচ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে ছায়াপথে সঙ্গী তারাহীন এই একা কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছেন। অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হাবল স্পেস টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে এই কৃষ্ণগহ্বরের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের জ্যোতির্বিদ কৈলাশ সাহু ও তাঁর সহকর্মীরা ধনু তারামণ্ডলে একটি অন্ধকার বস্তু ঘুরে বেড়াতে দেখেন। সে সময় এমন বস্তুর আবিষ্কার বেশ বিতর্ক তৈরি করেছিল। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন, এটি আসলে একটি নিউট্রন তারা। সেই তারাকে বিশ্লেষণ করার সময় কৃষ্ণগহ্বরের তথ্য পান বিজ্ঞানীরা। ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের তথ্য বিশ্লেষণের পরে দেখা যাচ্ছে, এটি আসলে কৃষ্ণগহ্বর। গবেষকেরা ভালো প্রমাণের জন্য হাবল ও গাইয়া স্পেস প্রোবের ২০২১ থেকে ২০২২ সালের তথ্য পর্যবেক্ষণ করেন।
এর আগে যত কৃষ্ণগহ্বর শনাক্ত করা গেছে সব ক্ষেত্রে সঙ্গী তারা দেখা যায়। কৃষ্ণগহ্বর সব আলো শুষে নেয় বলে মহাকর্ষীয় লেন্সিং প্রভাবের কারণে সঙ্গী তারার উপস্থিতি ছাড়া তাদের শনাক্ত করা সাধারণভাবে কঠিন। অন্য একটি দূরবর্তী তারার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কৃষ্ণগহ্বরটি লক্ষ করেন বিজ্ঞানীরা। তখন দেখা যায়, দূরের তারাটি আসলে যে অন্ধকার বস্তুটিকে অনুসরণ করছিল তা সূর্যের ভরের প্রায় সাত গুণ বেশি। এই ভরের কারণে বস্তুটি নিউট্রন তারা হতে পারে না বলে মতামত দেন তাঁরা। গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলল।
একলা কৃষ্ণগহ্বরটি পৃথিবী থেকে পাঁচ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত ২৭ হাজার আলোকবর্ষ দূরের অতিবৃহৎ কৃষ্ণগহ্বর স্যাজিটেরিয়াস স্টারের চেয়ে অনেক কাছে অবস্থিত কৃষ্ণগহ্বরটি। বিজ্ঞানীরা একক এই কৃষ্ণগহ্বরের আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ২০২৭ সালে ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র: এনডিটিভি