ফল জাতীয় পণ্যে নতুন করে আরোপ করা অতিরিক্ত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রামের ফল আমদানিকারক, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার নগরের রেলওয়ে ফলমন্ডির সামনে এ মানববন্ধন করে চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতি। এ সময় তারা দাবি পূরণে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দেন। 

চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলী হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তৌহিদুল আলমসহ নেতারা বক্তব্য দেন। তারা জানান, বিভিন্ন ধরনের ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ও কর বসিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ডলার সংকটসহ বিভিন্ন বাধায় আগে থেকেই ফল ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার। এর মধ্যে অতিরিক্ত ভ্যাট, এসডি এবং টিটিআই বসানোর কারণে এ ব্যবসায় ধস নামবে। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। 

ফল ব্যবসায়ীরা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং এনবিআর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত শুল্ক-কর প্রত্যাহার না করলে এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন তারা। প্রয়োজনে সারাদেশের ফল আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব স্থলবন্দর থেকে আমদানি করা ফল ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফল ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

কীর্তনখোলার তীর থেকে উদ্ধার সেই শিশু ফিরল মায়ের কোলে

বরিশাল নগরীর উপকণ্ঠে কীর্তনখোলার তীর থেকে উদ্ধার পরিচয়হীন সেই নবজাতক ফিরেছে আপন ঠিকানায়। বাবার কোলে চড়ে গত রোববার রাতে ঢাকা থেকে বাগেরহাটে মায়ের কোলে পৌঁছে। তবে অনেকটা বিনা চিকিৎসায় শিশুটিকে বাড়ি ফিরতে হয়।

শিশুটির বাবা বাগেরহাট শহরে ফুটপাথের চা দোকানি গণেশ শ্যাম আজ বুধবার বিকেলে সমকালকে বলেন, গত রোববার দুপুরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। রাতে তিনি ও তার শাশুড়ি সুমি দাস বাসে শিশুটিকে নিয়ে বাগেরহাটের ফেরেন। 

রিলিজ দেওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে গণেশ জানান, শিশুটির পিঠের টিউমার নিরসনে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু, একমাস বয়স হওয়ার আগে অস্ত্রোপচার সম্ভব নয়। যেহেতু শিশুটির বয়স এক সপ্তাহ, তাই আরও তিন সপ্তাহ পর ঢামেকে ভর্তির জন্য পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

শিশুটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বাবা গণেশ বলেন, পিঠের টিউমার থেকে পানি বের হচ্ছে। বাগেরহাটের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। কিন্তু, ঈদের ছুটি হওয়ায় চিকিৎসক পাচ্ছি না।

গত ২২ মার্চ রাত ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর কীর্তণখোলার তীরে ত্রিশ গোডাউন এলাকায় পরিত্যক্ত বাথরুমে অজ্ঞাত হিসেবে শিশুটি উদ্ধার হয়। স্থানীয় ফুচকা বিক্রেতা পারভীন বেগম শিশুটি উদ্ধার করে বরিশাল শের-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান। গত ২৮ মার্চ শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া যায়। তার আগের দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর ও শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

বাবা গণেশ দত্ত জানান, বরিশাল নগরীর সদর রোড মোখলেসুর রহমান ক্লিনিকে ২১ মার্চ তার স্ত্রী অন্তরা দাস শিশুটির জন্ম দেন। এটি তাদের প্রথম সন্তান। জন্মের পর শিশুটির পিঠে টিউমার ধরা পড়ে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিনই নবজাতককে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলো। ব্যয়বহুল চিকিৎসা ও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ার আশঙ্কায় ২২ মার্চ দুপুরে ওয়ার্ডে বসেই শিশুটিকে এক রিক্সাচালকের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর আর কিছু তাদের জানা নেই।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউর মুনীর জানান, শিশুটির পিঠে মেরদণ্ডের টিসু থেকে টিউমারের উৎপত্তি হয়েছে। এটি পুরোপুরি ভাল হওয়ার সম্ভাবনা কম। চিকিৎসাও অনেক ব্যয়বহুল। তিনি জানান, শিশুটি দত্তক নিতে অনেকে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তবে শারীরিক অবস্থা দেখে ফিরে যান। বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজও জানান, শিশুটির চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ