হরিলুট ঠেকাতে প্রশাসক নিয়োগ হচ্ছে কেআইবিতে
Published: 20th, January 2025 GMT
শৃঙ্খলা ফেরাতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) প্রশাসক নিয়োগের কথা ভাবছে সরকার। রোববার সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ কেআইবিতে গিয়ে এ তথ্য জানান।
এক যুগেরও বেশি সময় কেআইবিতে চলেছে লুটপাট। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের দখলে চলে যায় কেআইবি। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তারা দুই ধারায় বিভক্ত। গত শুক্রবার রাতে দু’পক্ষ সংঘর্ষেও জড়ায়। ৩৫ হাজার কৃষিবিদের এই সংগঠনটির এখন কোনো কমিটি নেই।
দু’পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, স্বনামধন্য এ সংগঠনে বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শৃঙ্খলা ধরে রাখতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মাসিক আয়ের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক রাশিদুল হাসান হারুন ও বিএনপির গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হারুন গ্রুপের নেতৃত্ব দেন কৃষিবিদ নুরুন্নবী শ্যামল আর শামীম গ্রুপের নেতৃত্ব দেন কৃষিবিদ শফিক, কৃষিবিদ ইয়ার মাহমুদ প্রমুখ।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধনপ্রাপ্ত এই সংগঠনের কৃষিবিদরা আওয়ামী লীগ আমলেও দুই ধারায় বিভক্ত ছিলেন। একটির নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড.
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, রোববার উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ কেআইবিতে যাওয়ার পর লুটপাটের নানা তথ্য বেরিয়ে আসে। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মূল মিলনায়তন ছাড়াও একাধিক হলরুম বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়। এসব অনুষ্ঠানের খাবার সরবরাহ ও সাজসজ্জার জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির নিয়ম থাকলেও মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ‘ইকবাল ক্যাটারিং’ নামে এই প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়ে মুনাফা তুলে নিতেন কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। বিএনপি নেতারাও ঠিক একই পথে হাঁটছেন। এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে খাবারের প্লেট প্রতি টাকা নেন বিএনপিপন্থি কৃষিবিদরা। এ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠানে অতিথিপ্রতি ১০০ টাকা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনকে দিতে হয়। কিন্তু এক হাজার অতিথি উপস্থিত থাকলে দেখানো হয় ৩০০ জন। এর মাধ্যমে এক দিনেই অন্তত ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এই টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের মধ্যে চলছে বিরোধ। উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, এত অনিয়মের পরও তিন-চার মাস ধরে এখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না। দ্রুত প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে সব অনিয়মের তদন্ত করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক আইব ক ষ ব দ ইনস ট ট উপদ ষ ট আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে মুরগির টাকা নিয়ে বিরোধ, হামলায় ক্রেতা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুরগি বিক্রির বকেয়া টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ক্রেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
নিহত দিলদার মিয়া (৪৮) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি মনিরঘোনা স্টেশনে মুরগির ব্যবসা করতেন।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলি, গৃহবধূ নিহত
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আব্দুল হাকিম দিলদার মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মুরগি কেনেন। দিলদার মিয়া পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কয়েকবার তাগাদা দিলেও আব্দুল হাকিম টাকা পরিশোধ করেননি।
সোমবার দুপুরে মনিরঘোনা মসজিদের সামনে আবারো পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দিলদার মিয়া ও আব্দুল হাকিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল হাকিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন মিলে দিলদার মিয়াকে মারধর শুরু করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী স্টেশনের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, ঘটনার পর থেকে আব্দুল হাকিমসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল