রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধের জটিলতা কাটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে রাশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশ বিষয়টি সুরাহার জন্য ইতিবাচক আলোচনার পথেই রয়েছে। 

রুশ রাষ্ট্রদূত রোববার প্রথমে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন ও পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশের পর এই প্রথম তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ দুই কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত আছেন। এটা যে সমাধান হবে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক পথেই এগোচ্ছি। সংবেদনশীল ইস্যুটি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনা হবে। তাই আগাম কোনো অনুমান করতে পারি না। এটুকু বলতে পারি, লেনদেনের বিষয়টির সুরাহা হয়ে যাবে।’ 

এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের লোকজনকে রাশিয়ার কোন কোন খাতে নিতে আগ্রহী জানতে চাইলে তিনি কৃষি, জাহাজ নির্মাণ ও সেবা খাতের কথা উল্লেখ করেন। চুক্তি বা এমওইউ করার আগে রি-এডমিশন (কর্মী ফেরত আসার) চুক্তি সই করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঋণ পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

‘দ্যা ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি বৈবিছাআ’র পূর্ণ সংহতি ঘোষণা

বিশ্বব্যাপী ‘দ্যা ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি ঘোষণা ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা। তারা বলেন, আমাদের সংহতি সকলকে সমস্বরে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

রোববার (৬ এপ্রিল) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রিজন আহমেদ নিলয় সাক্ষরতি বিবৃতিতে বলা হয়, সমগ্র বিশ্ব আজ এক ভয়াবহ নৃশংসতা, অমানবিক তাণ্ডব, নির্মমতার নিশ্চুপ সাক্ষী।

মাসের পর মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীর ওপর পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ এমনকি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পর্যন্ত এই আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি।

হাজার হাজার শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষকে হত্যা সহ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত, অনাহারে ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছে। এই ভয়াবহতা কেবল কোনো ভূ-রাজনৈতিক সংকট নয়, এটি ইতিহাসের এক গভীরতম মানবিক বিপর্যয়।

আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়, বরং এটি মানবতার বিরুদ্ধে সংগঠিত ভয়াবহ অপরাধ। একটানা বোমাবর্ষণ, খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া, শিশুহত্যা-মূলত মানবতার বিরুদ্ধাচরণ। 

আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা-সচেতনভাবে গাজায় চলমান নৃশংস গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী "দ্যা ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা" কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। 

আমরা আশা করি, আমাদের সংহতি সকলকে সমস্বরে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে আমরা সকল বিবেকবান মানুষকে গাজার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ