চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ‘সমমনা আইনজীবী ঐক্য’ প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে। এতে সমমনা প্যানেলের বাবর বেপারী-জসিম মেহেদী-আতিক প্যানেলের ১৫ প্রাথীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

রোববার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.

এন.এম মাইনুল ইসলাম উপস্থিত আইনজীবীদের সামনে নির্বাচিত কমিটি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার জেলা আইনজীবী সমিতির জুনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহজাহান আখন্দ ও সহকারী নির্বাচন কমিশনার ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফ মাহমুদ সায়েম।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী রোববার ছিল আপত্তি দাখিল ও আপত্তি শুনানি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো প্রার্থী প্রত্যাহার না করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার দাখিলকৃত সমমনা প্যানেলের প্রার্থীদেরকে জয়ী বলে ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.এন.এম মাইনুল ইসলাম বলেন, ১৬ তারিখে মনোনয়নপত্র দাখিল করার দিন ধার্য ছিল। ওই দিন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম একটি প্যানেল দাখিল করেছে। ১৯ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ছিল- যেহেতু একটি প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে এবং তারা প্রত্যাহারও করেননি, তাই সঙ্গত কারণেই এ প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী ২৩ জানুয়ারি জয়ী প্যানেলের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (আওয়ামী লীগ) বিদ্যমান পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিবেচনায় নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গত ১৬ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান চাঁদপুর সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন যারা :

সমমনা আইনজীবী ঐক্য (বিএনপি) প্যানেলের নির্বাচিত কর্মকর্তারা হলেন : সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বাবর বেপারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আলম চৌধুরী, জুনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. ফরিদ আহাম্মদ মিয়া (রিপন), সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন (মেহেদী হাসান), যুগ্ম সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, সম্পাদক ফরমস পদে অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন, সম্পাদক লাইব্রেরি পদে অ্যাডভোকেট আবদুল কাদের খান, সম্পাদক সমাজকল্যাণ ও সেমিনার পদে অ্যাড. শাহাদাত সরকার শাওন, জেনারেল অডিটর পদে অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন পাটওয়ারী, রানিং অডিটর পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মুসলিম মিয়াজী, চেয়ারম্যান রেজিস্টারিং অথরিটি পদে অ্যাডভোকেট মো. সানজিদ হাসান (সনি), সম্পাদক রেজিস্ট্রারিং অথরিটি পদে অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন ফাহাদ, সদস্য রেজিস্টারিং অথরিটি পদে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান প্রধান, অ্যাডভোকেট তানজীর আহমেদ (মামুন), অ্যাডভোকেট আবদুল কাদের জিলানী (মিল্টন)।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে সাংবাদিকরা

আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েছেন সাংবাদিকেরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

এদিন বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড শুনানির জন্য সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগারওয়াল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ কয়েকজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

সকাল ১০ টার দিকে আসামিদের হাজতখানা থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়। সালমান এফ রহমান ও অন্য আসামিদের আইনজীবীরা কাঠগড়ার পাশে গিয়ে ঘিরে ধরেন। সালমান এফ রহমানসহ সব আসামি তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। বিচারক ১০টা ১২ মিনিটে এজলাসে ওঠেন। 

এ সময় নিম্ন আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকরা সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন। সাংবাদিকরা কেন এজলাস কক্ষে আছেন, এ প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা। এরপর ছবি ও ভিডিও করার অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের হেনস্তা করে এজলাস কক্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন আইনজীবীরা। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা বলেছেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকতা করছি। দুই দিন আগে আইনজীবীদের কাছে সালমান এফ রহমানসহ বিভিন্ন আসামির বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের বার্তা দেওয়ার নিউজ করেন সাংবাদিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সব সাংবাদিককে নজরে রাখেন সালমান এফ রহমানের আইনজীবীরা। এজলাস কক্ষে সাংবাদিক আছে কেন, প্রশ্ন তোলাসহ ছবি ও ভিডিও করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আদালত প্রাঙ্গণ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।”

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেছেন, “সাংবাদিকরা এখানে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। আইনজীবীরা কেন বাধা দেবেন? আজকের ঘটনা কী হয়েছে, দেখিনি। সামনের দিন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেউ যেন এ ধরনের আচরণ না করেন, এ বিয়ষটি দেখব।”

ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম বলেছেন, “ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। যেসব আইনজীবী সাংবাদিকদেরকে হেনস্তা করেছেন, তাদের নাম দিলে আমরা ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে ন্যায়বিচার করব। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব। সেই আইনজীবীদের নাম্বার আমাদের কাছে দেন।”

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইমদাদুল, সাধারণ সম্পাদক শাকিল
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি
  • চাঁদপুরে আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহির, সম্পাদক ফয়সাল
  • ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন তিন দিনের রিমান্ডে
  • টাঙ্গাইল বার সমিতিতে বিএনপি-জামায়াত প্যানেল নির্বাচিত
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
  • আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়াতে বিক্ষোভ
  • বিএনপি-জামায়াত লড়াই, বর্জন আ’লীগ-বামদের
  • সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে সাংবাদিকরা