Samakal:
2025-03-03@20:19:31 GMT

পোশাক কারখানায় ভাঙচুর

Published: 19th, January 2025 GMT

পোশাক কারখানায় ভাঙচুর

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় শ্রমিকরা দুটি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার মাদার কালার ও আরএস গার্মেন্ট কারখানায় এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে প্রায় আধ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী আরএস গার্মেন্টের শ্রমিক রুকাইয়া আক্তার ও শাহিনা বেগম জানান, শনিবার মাদার কালার গার্মেন্টের এক শ্রমিককে মারধর করেন কারখানার সুপারভাইজার। এর জের ধরে রোববার দুপুর ১২টার দিকে মাদার কালারের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা লোহার পাইপ, লাঠিসোটা নিয়ে প্রথমে নিজেদের গার্মেন্ট ভাঙচুর করে। পরে পাশের আরএস নামে একটি কারখানার শ্রমিকদের নামিয়ে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আরএস গার্মেন্টেও হামলা চালায়। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি এসে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের ধাওয়া করে। দুপুরের পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
মাদার কালার গার্মেন্টের গেটে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে কারখানাটি খোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শাহনেওয়াজ। তবে শ্রমিকদের অভিযোগ বিনা কারণে মালিকপক্ষ একজন শ্রমিককে মারধর করেন। 
অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিন ম্যানেজার শাহনেওয়াজ জানান, রিপন নামে এক অপারেটর চার দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে শনিবার লাইন সুপারভাইজার মিজান তাঁকে ধমক দিয়ে কথা বলেন। এতে ক্ষুব্ধ রিপন সুপারভাইজার মিজানকে মারধর করেন। মিজান ও রিপনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে অপারেটর রিপন অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে পুনরায় সুপারভাইজার মিজানকে মারধর করেন। রোববার সকালে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই শ্রমিককে ডেকে নিয়ে কথা বলে। এ সময় গুজব রটানো হয়, অপারেটর রিপনকে মালিকপক্ষ মারধর করে আটকে রেখেছে। এতে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে মাদার কালার কর্তৃপক্ষ গার্মেন্ট ছুটি দিয়ে দেয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আরএস গার্মেন্টেও। বাধ্য হয়ে সেই কারখানাও ছুটি দেওয়া হয়।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ