Samakal:
2025-01-31@11:45:38 GMT

আনন্দের হল ফিস্ট

Published: 19th, January 2025 GMT

আনন্দের হল ফিস্ট

ক্লাস-পরীক্ষার হাজারো ব্যস্ততা, একঘেয়েমি, একাকিত্ব থেকে প্রাণবন্ত করে ফেলার এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে হল ফিস্টের। সম্প্রতি  হৈহুল্লোড় আর আনন্দের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ঐতিহ্যবাহী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের ‘হল ফিস্ট’ দিয়ে শেষ করেছেন  ২০২৪ সাল।
এবারের ফিস্টের নাম ছিল ‘The Royal Unveiling’ এবং থিম হিসেবে ছিল একটি মমি, যা সামনের হুমকিময় জীবনের একটি প্রতীকী। ফিস্ট মানেই আনন্দ, হাসি, ঘোরাঘুরি, সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে বন্ধন আরও মজবুত করা।  
‘Unity in diversity, strength in harmony’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিদায়ী বছরের শেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ইউনিক শোডাউন দিয়ে শুরু হয় সোহরাওয়ার্দী হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দ্বারা আয়োজিত ফিস্টটি। শোডাউনটির থিম ছিল জুলাই বিপ্লব। সবাই একই ধরনের টি-শার্ট পরে পায়ে পায়ে তাল মিলিয়ে জুলাইয়ের চেতনাকে মনে গেঁথে নেন আরেকবার। ফিস্টের আনুষ্ঠানিক শুরুর বহু আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এর প্রস্তুতি পর্ব। প্রথম বর্ষের সব শিক্ষার্থী বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে যান।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.

মো. বজলুর রহমান মোল্যা, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম ছাত্রদের সঙ্গে কেক কাটার মাধ্যমে ফিস্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। জুনিয়রদের সঙ্গে সিনিয়ররাও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফিস্টে যোগ দেন। রাতে  নাচ-গানের আসর মাতিয়ে রাখে সবাইকে।
ফিস্টটি যেন সবদিক থেকেই সবাইকে আকর্ষণ করেছে। হলের আলোকসজ্জা নজরকাড়ে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি ক্যাম্পাস-সংলগ্ন এলাকার সবাইকেই। লোকমুখে সব থেকে সেরা আলোকসজ্জার শিরোপা পায় হলটি। ফিস্টের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকালটি শুরু হয় সিনিয়র-জুনিয়র এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে। আরেকদল সকাল থেকেই ব্যস্ত হয়ে যায় বিকেলের ফ্ল্যাশ মবের অনুশীলনে। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন-সংলগ্ন হেলিপ্যাডে ফ্ল্যাশ মবে পারফরম্যান্স করে প্রথম বর্ষের একদল শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা-পরবর্তী আবার নাচের আসর বসানো হয় কেআর মার্কেটে। পরে রাতে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ডিনার। এ ডিনারে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের সিনিয়রদেরও আমন্ত্রণ করেন। 
শনিবার ছিল হল ফিস্টের শেষ দিন। দিনটির শুরু হয় রং খেলার মাধ্যমে। সবাই মেতে ওঠেন একই আমেজে। বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন ছিল ওইদিন বিকেলে। রাতে অনুষ্ঠিত হয় কালচারাল নাইট। সংগীত, নাচ, কৌতুক আর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল র্যাফেল ড্রর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী হলের তিন দিনের জমকালো এই ফিস্ট। ফিস্ট সম্পর্কে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিজান অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা অনেক ভালো একটা ফিস্ট করতে পেরেছি। জাঁকজমক ছিল সবকিছু। ভার্সিটি ছেড়ে গেলে এটাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়বে।’ v

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হল ফ স ট

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে পড়লেন মার্শ

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। দলটা নিশ্চিতভাবেই অন্যতম ফেবারিট হিসেবে যাচ্ছে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। তবে ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসরটির আগে ঝামেলা পিছু ছাড়ছে না অজিদের। দলের নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স চোটাক্রান্ত। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি। এবার অজিদের জন্য ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের ছিটকে পড়টা। ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

মার্শের সামনে সুযোগ ছিল সাদা বলের ক্রিকেটে, আইসিসির সব ধরনের বৈশ্বিক আসর জয়ের অসাধারণ এক মাইলফলক ছোঁয়ার। তবে চোটের কারণে এবার অন্তত সেটা সম্ভব হচ্ছে না। জানা গিয়েছে পিঠের নিচের অংশের চোটে ভুগছেন এই ৩৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। সুনির্দিষ্ট করে চোটের ধরণ জানায়নি সিএ।

সিএ-এর এক মুখপাত্র বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়া জাতীয় নির্বাচক প্যানেল এবং চিকিৎসকরা মিচেল মার্শকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার চোটের কারণে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকা মার্শের শারীরিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি তার পিঠের নিচের অংশে ব্যথা আরও বেড়ে যাওয়ার কারণে নির্বাচক প্যানেল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। তাকে পুরোপুরি সেরে ওঠার সুযোগ দিতে পুনর্বাসনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। মার্শের জায়গায় দলে কে অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নির্বাচক প্যানেল বৈঠক শেষে যথাসময়ে ঘোষণা করবে।”

আরো পড়ুন:

তবু আফসোস নেই শরিফুলের

রঞ্জিতে বিরাটের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে রাত ৩টা থেকে লাইন  

এদিকে ক্রিকইনফো দাবি করছে মার্শের এবারের ক্রিকেট মৌসুম শেষ। ক্রিকেটভিত্তিক সাইটটি আরও জানায় অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকরা এখন যদি মার্শের পরিবর্তে কোন ব্যাটসম্যানকে বেছে নেন, তাহলে সেটা হতে পারে জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, যদিও তিনি সম্প্রতি ভালো ফর্মে নেই। তবে তার খেলায় আগ্রাসী মনোভাব রয়েছে, যা মার্শের মতোই। অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে ব্যাটিং বিকল্প ইতোমধ্যেই আছে, তাই নির্বাচকরা অলরাউন্ডারও বেছে নিতে পারেন। এমনটা হলে, টেস্ট দলে মার্শের জায়গা দখল করা বাউ ওয়েবস্টার ওয়ানডেতেও ডাক পেতে পারেন।

এদিকে আইপিএলের এবারের মৌসুমে মার্শের খেলা এখন অনিশ্চত। গত নভেম্বরে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত মেগা নিলামে তাকে ৩ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচটি হবে ২২ ফেব্রুয়ারি, যেখানে তারা মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান। এর আগে শ্রীলঙ্কায় দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ