Samakal:
2025-04-02@18:19:36 GMT

পড়াশোনা যখন বন নিয়ে

Published: 19th, January 2025 GMT

পড়াশোনা যখন বন নিয়ে

সবুজ বনবনানীর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। বিভিন্ন বনাঞ্চলে ঘুরে বেড়ানো আমাদের অনেকেরই শখ। কেমন হয় যদি আপনার পড়াশোনার বিষয়ই হয় বন? পড়াশোনার সুবাদেই ঘুরতে পারেন দেশের প্রায় সব বনাঞ্চলে? এর জন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে বনবিদ্যা বিষয়টি। 
বনবিদ্যায় পড়াশোনায় সুযোগ থাকে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার। 
কোথায় পড়বেন
বর্তমানে বাংলাদেশের ৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)। 
পড়াশোনার বৈচিত্র্য
বনবিদ্যা মানে শুধুই গাছ নিয়ে পড়া এমন নয়, এটি একটি মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট। বনবিদ্যায় ফরেস্ট ইকোলজি, বোটানি, ডেন্ড্রোলজি, ট্রি ফিজিওলজি, জিওলজি, জেনেটিক্স, সিলভিকালচার, বায়োডাইভার্সিটি, ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট, ফরেস্ট বায়োএনার্জি ছাড়াও উড ফিজিক্স ও মেকানিক্স, স মিলিং, স ডক্টরিং, উড কেমিস্ট্রি, ফরেস্ট ইকোনমিক্স, কৃষি বনবিদ্যা, পাল্প-পেপার টেকনোলজি, উড মডিফিকেশন, ফরেস্ট ল,  ফরেস্ট প্যাথলজি পড়ানো হয়। এ ছাড়া সাধারণত কম্পিউটার সায়েন্স, গণিত, সার্ভেয়িং, রিমোট সেন্সিং, জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম, টি সায়েন্স, পরিসংখ্যান, অ্যাকাউন্টিং বিষয়গুলোও এ বিভাগে পড়ানো হয়ে থাকে। চার বছরের বিএসসি অনার্স কোর্সটি মোট আট সেমিস্টার/টার্মে শেষ হয়। আটটি সেমিস্টারে মোট ১৬০ এর বেশি ক্রেডিট অর্জন করতে হয়। প্রতি সেমিস্টারে যেতে হয় কোন না কোন বনাঞ্চলে। 
বিদেশে পড়ার সুযোগ
বনবিদ্যায় পড়ালেখা করে বিদেশে পড়তে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই বনবিদ্যার ওপর অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি এবং ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে। বনবিদ্যায় স্নাতক অসংখ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃত্তি নিয়ে পড়ালেখা করছেন। 
চাকরির সুযোগ
সরকারি পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন, স্পেস রিসার্চ অ্যান্ড রিমোট সেন্সিং অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশের ফরেস্ট্রি সেক্টর, আইইউসিএন, জাতীয় উদ্যান, ইকোপার্ক, সাফারি পার্ক, বন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিটিউটে চাকরির সুযোগ রয়েছে। 
এর বাইরে বনবিদ্যা স্নাতকদের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভক্তদের ডাকে ফিরছে ‘অড সিগনেচার’

সিলেটে এক কনসার্টে যাওয়ার পথে গত বছর নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ব্যান্ড অড সিগনেচারের। এতে ব্যান্ডটির গিটারিস্ট ও ভোকাল আহাসান তানভীর পিয়াল ও মাইক্রোবাসের চালক আবদুস সালাম মারা যান। দুর্ঘটনায় আরও তিন ব্যান্ড সদস্য আহত হন। এরপর ব্যান্ডটির সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
বেশ কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগীতবিষয়ক বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ভক্তরা নিয়মিতই ‘অড সিগনেচার’কে ফেরার আকুতি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু মানসিক ট্রমা ও পরিবার থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ফেরা হচ্ছিল না সদস্যদের। তবে এবার ভক্তদের জন্যই ফিরছে ব্যান্ডটি। চলতি মাসেই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছে ‘অড সিগনেচার’।

ব্যান্ডটির কি–বোর্ডিস্ট ও ভোকাল অমিতাভ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ মাসেই ফিরছি। কবে ফিরছি, তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে এখন থেকে নিয়মিতই আমাদের পাওয়া যাবে। চলতি মাসের শেষেই সবকিছু জানা যাবে।’

গত পরশু ফেসবুক পোস্টে ‘অড সিগনেচার’–এর ফেরার ঘোষণা আপ্লুত করেছে ভক্তদের। মন্তব্যের ঘরে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘উদ্‌গ্রীব হয়ে অপেক্ষায় আছি, আমার প্রথম আবেগ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনাদের আবারও মঞ্চে দেখার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না।’ প্রয়াত ব্যান্ড সদস্য পিয়ালকে নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘পিয়াল ভাইকে অনেক মিস করব।’

২০১৭ সালে যাত্রা করে অড সিগনেচার, বিশেষ করে তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে ব্যান্ডটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ‘আমার দেহখান’ গান অড সিগনেচারের অনুরাগীদের ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের মুখে মুখেও ফেরে। এর বাইরে ‘ঘুম’, ‘প্রস্তাব’, ‘দুঃস্বপ্ন’, ‘মন্দ’ শিরোনামের গানগুলোও শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ