সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি আব্দুল হক, সা. সম্পাদক উজ্জ্বল
Published: 19th, January 2025 GMT
সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৪৫২ ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৩৮৮ জন ভোটার।
৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো- সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্য। বাকী ৮ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির স্বাক্ষর ক্ষমতা প্রদানকারী সদস্য অ্যাডভোকেট মো.
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল। তিনি পেয়েছেন ২৫০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর পেয়েছেন ১৩১ ভোট।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ. এস. এম মাহবুবুল হাছান তালুকদার শাহীন। তিনি পেয়েছেন ১৮৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট মো. আবুল বাশার ১৭৬ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির ৩২৭ ভোট, অ্যাডভোকেট মো. সাইদুর রহমান তালুকদার ৩০৯ ভোট, অ্যাডভোকেট মো. জুলহাস মিয়া ২৭২ ভোট, অ্যাডভোকেট মো. আফিজ মিয়া ২৫৪ ভোট, অ্যাডভোকেট রজত কান্তি সরকার ২৩৬ ভোট।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আজাদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু বকর, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জুবায়ের আবেদীন, অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রেজা, পাঠাগার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুশফিকুর রহমান পীর, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আকিক মিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাতেমা আক্তার রেখা।
সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মো. ছইল মিয়া। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ জমির উদ্দিন ও মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ন র ব চ ত হয় ছ ন আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগার থেকে শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে, বললেন পলক
কারাগার থেকে দুটি শীতের সোয়েটার হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। তবে তার এ অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন।
আইনজীবীর উদ্দেশে পলক বলেন, ‘আগামী শীতকাল পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে কি না, জানি না। কিন্তু আমার দুটি শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে। যদি সে পর্যন্ত থাকতে হয়, তাহলে আবার সোয়েটার জোগাড় করে নিতে হবে।’
বিভিন্ন হত্যা মামলায় আজ সোমবার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনাইদ আহ্মেদ পলক, তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুনানি শেষ হলে পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, তার মক্কেল কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাকে জানিয়েছেন, তার শীতের দুটি সোয়েটার কারাগার থেকে হারিয়ে গেছে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আলোচনায় থাকার জন্য জুনাইদ আহ্মেদ পলক উদ্ভট সব দাবি করে থাকেন। এই সোয়েটার হারিয়ে যাওয়ার তথ্য, এমন একটি উদ্ভট দাবি। কারাগার থেকে কোনো বন্দীর জিনিসপত্র হারানোর সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, একজন বন্দীকে যদি কারাগার থেকে কোনো কাপড়চোপড় বাইরে নিয়ে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে কারাগারে সেই কাপড়চোপড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে কারারক্ষীরা তার স্বজনদের কাছে কাপড় হস্তান্তর করেন।
পলকের আইনজীবীর তথ্যও সঠিক নয় বলে দাবি করেন জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক।