সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৪৫২ ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৩৮৮ জন ভোটার। 

৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো- সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্য। বাকী ৮ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা। 

নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির স্বাক্ষর ক্ষমতা প্রদানকারী সদস্য অ্যাডভোকেট মো.

আব্দুল হক। তিনি পেয়েছেন ১৭৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হামিদ ১৩৭ ভোট, অ্যাডভোকেট রবিউল লেইছ ৫৭ ভোট, অ্যাডভোকেট মো. বদর উদ্দিন ১৬ ভোট। 

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল। তিনি পেয়েছেন ২৫০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর পেয়েছেন ১৩১ ভোট। 

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ. এস. এম মাহবুবুল হাছান তালুকদার শাহীন। তিনি পেয়েছেন ১৮৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট মো. আবুল বাশার ১৭৬ ভোট পেয়েছেন।
 
নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির ৩২৭ ভোট, অ্যাডভোকেট মো. সাইদুর রহমান তালুকদার ৩০৯ ভোট, অ্যাডভোকেট মো. জুলহাস মিয়া ২৭২ ভোট, অ্যাডভোকেট মো. আফিজ মিয়া ২৫৪ ভোট, অ্যাডভোকেট রজত কান্তি সরকার ২৩৬ ভোট।  

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আজাদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু বকর, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জুবায়ের আবেদীন, অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রেজা, পাঠাগার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুশফিকুর রহমান পীর, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আকিক মিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাতেমা আক্তার রেখা। 

সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মো. ছইল মিয়া। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ জমির উদ্দিন ও মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ন র ব চ ত হয় ছ ন আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা  জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ  একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইমদাদুল, সাধারণ সম্পাদক শাকিল
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি
  • চাঁদপুরে আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহির, সম্পাদক ফয়সাল
  • ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন তিন দিনের রিমান্ডে
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
  • আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়াতে বিক্ষোভ
  • বিএনপি-জামায়াত লড়াই, বর্জন আ’লীগ-বামদের
  • সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে সাংবাদিকরা
  • পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য