Samakal:
2025-04-02@09:43:11 GMT

টু-ইন-ওয়ান ডিভাইস

Published: 19th, January 2025 GMT

টু-ইন-ওয়ান ডিভাইস

নতুন বছরে দ্বৈত সুবিধার পণ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। দুটি যন্ত্রের সুবিধা মিলবে একটি ডিভাইসে– এমন ধারণায় ফ্যাশন ডিভাইসের চাহিদা বাড়ছে। বিশ্বসেরা সবকটি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড এমন ধারণায় পণ্য ডিজাইন করছে। তেমনই ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট ডিভাইসকে একটি ডিজাইনে নিয়ে এসেছে কিছু প্রযুক্তি নির্মাতা।
দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন, সময়োপযোগী পারফরম্যান্স ও বহুমুখী ব্যবহারের কথা বিবেচনা করে নতুন সেভেনআই
টু-ইন-ওয়ান সিরিজের ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড লেনোভো। প্রসেসরে ইনটেল কোর আলট্রা ৭-১৫৫এইচ সিরিজ, ১৬ জিবি র‍্যাম থাকায় মাল্টি-টাস্কিং ও মানোন্নত গ্রাফিকসের জন্য স্মুথ সুবিধা পাওয়া যায় বলে নির্মাতারা জানান।
জানা গেছে, ল্যাপটপ অবয়বে কমপ্যাক্ট ও বহনযোগ্য দুটি ভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়েছে ডিজাইনে। পরিপূর্ণ ল্যাপটপ অন্যদিকে ট্যাবলেট, যেভাবে প্রয়োজন সেভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। ডিসপ্লে ১৪ ইঞ্চি ওএলইডি টাচস্ক্রিন। উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ ছবি নিশ্চিত করে।
সঙ্গে থাকা ব্র্যান্ডের ডিজিটাল পেন গ্রাহককে সহজে নেভিগেট করতে, ড্রয়িং করতে ও ক্রিয়েটিভ কাজে বিশেষ সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
নির্মাতারা জানান, ওজন ১.

৪৯ কেজি।
টু-ইন-ওয়ান ডিজাইনে পাতলা ও হালকা গড়ন হওয়ায় যে কোনো স্থানে ও সময়ে পোর্টেবিলিটি সুবিধা দেয়।
কারিগরি বৈশিষ্ট্যে থাকছে ডলবি অ্যাটমোস অপ্টিমাইজড স্পিকার, ১০৮০পি ক্যামেরা, জেনুইন উইন্ডোজ ১১ হোম সংস্করণ। ব্যাটারি লাইফে দীর্ঘস্থায়িত্ব শর্ত পূরণ করে। রং স্টর্ম গ্রে। ডিভাইসটি শিক্ষার্থী, বিশেষ কাজ ও ক্রিয়েটিভ পেশাজীবীদের জন্যই ডিজাইন করেছে নির্মাতা।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর চারপাশে নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর চারপাশে ভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান করছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে লুকানো সেই বৈদ্যুতিক শক্তির খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন ধরনের এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। শান্ত কিন্তু শক্তিশালী এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। পৃথিবীর বায়ু ও মহাকাশের সংযোগে প্রধান ভূমিকা পালনও করে থাকে এই শক্তি। নাসার এনডুরেন্স মিশনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রের খোঁজ মিলেছে।

পৃথিবীর অনেক ওপরে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে, এর ফলে সেখানে পরমাণু চার্জযুক্ত কণা ভেঙে হালকা ইলেকট্রন ও ভারী আয়নে পরিণত হয়। সাধারণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আয়নকে নিচে টেনে নিয়ে আসে আর ইলেকট্রন হালকা বলে ওপরে ভেসে থাকে। কিন্তু বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা থাকতে চায় না। ইলেকট্রন পালাতে শুরু করলে তার সঙ্গে আয়নকে একসঙ্গে ধরে রাখার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়। এই ক্ষেত্র আয়নকে ওপরে ঠেলে দেয় আর ইলেকট্রনকে ধীর করে দেয়। এই ভারসাম্যকে বিজ্ঞানীরা অ্যাম্বিপোলার বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বলেন। এটি একটি অদৃশ্য টানাটানির মতো কাজ করে। চার্জকে আলাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পৃথিবী থেকে ২৫০ থেকে ৭৭০ কিলোমিটার ওপরে এই ক্ষেত্রের উপস্থিতি দেখা যায়। এর প্রভাব সূক্ষ্ম, কিন্তু বেশ শক্তিশালী।

নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী গ্লিন কলিনসন বলেন, অ্যাম্বিপোলার ক্ষেত্র কণাকে উত্তপ্ত করার পরিবর্তে শান্তভাবে কণাকে ওপরে নিয়ে যায়, যেখানে অন্যান্য শক্তি সেগুলোকে আরও ওপরের মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এই ক্ষেত্র হাইড্রোজেন আয়নকে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। মাধ্যাকর্ষণের ঊর্ধ্বমুখী শক্তির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী এই শক্তি।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত চার্জযুক্ত কণার তথ্য জানতে ২০২২ সালের ১১ মে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল নাসার এনডুরেন্স মিশন। রকেটটি পৃথিবীর ওপরে ৭৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর আগে বায়ুমণ্ডলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেসব তথ্য পর্যালোচনা করেই নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: আর্থ ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ