Samakal:
2025-01-31@13:52:32 GMT

টু-ইন-ওয়ান ডিভাইস

Published: 19th, January 2025 GMT

টু-ইন-ওয়ান ডিভাইস

নতুন বছরে দ্বৈত সুবিধার পণ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। দুটি যন্ত্রের সুবিধা মিলবে একটি ডিভাইসে– এমন ধারণায় ফ্যাশন ডিভাইসের চাহিদা বাড়ছে। বিশ্বসেরা সবকটি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড এমন ধারণায় পণ্য ডিজাইন করছে। তেমনই ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট ডিভাইসকে একটি ডিজাইনে নিয়ে এসেছে কিছু প্রযুক্তি নির্মাতা।
দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন, সময়োপযোগী পারফরম্যান্স ও বহুমুখী ব্যবহারের কথা বিবেচনা করে নতুন সেভেনআই
টু-ইন-ওয়ান সিরিজের ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড লেনোভো। প্রসেসরে ইনটেল কোর আলট্রা ৭-১৫৫এইচ সিরিজ, ১৬ জিবি র‍্যাম থাকায় মাল্টি-টাস্কিং ও মানোন্নত গ্রাফিকসের জন্য স্মুথ সুবিধা পাওয়া যায় বলে নির্মাতারা জানান।
জানা গেছে, ল্যাপটপ অবয়বে কমপ্যাক্ট ও বহনযোগ্য দুটি ভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়েছে ডিজাইনে। পরিপূর্ণ ল্যাপটপ অন্যদিকে ট্যাবলেট, যেভাবে প্রয়োজন সেভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। ডিসপ্লে ১৪ ইঞ্চি ওএলইডি টাচস্ক্রিন। উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ ছবি নিশ্চিত করে।
সঙ্গে থাকা ব্র্যান্ডের ডিজিটাল পেন গ্রাহককে সহজে নেভিগেট করতে, ড্রয়িং করতে ও ক্রিয়েটিভ কাজে বিশেষ সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
নির্মাতারা জানান, ওজন ১.

৪৯ কেজি।
টু-ইন-ওয়ান ডিজাইনে পাতলা ও হালকা গড়ন হওয়ায় যে কোনো স্থানে ও সময়ে পোর্টেবিলিটি সুবিধা দেয়।
কারিগরি বৈশিষ্ট্যে থাকছে ডলবি অ্যাটমোস অপ্টিমাইজড স্পিকার, ১০৮০পি ক্যামেরা, জেনুইন উইন্ডোজ ১১ হোম সংস্করণ। ব্যাটারি লাইফে দীর্ঘস্থায়িত্ব শর্ত পূরণ করে। রং স্টর্ম গ্রে। ডিভাইসটি শিক্ষার্থী, বিশেষ কাজ ও ক্রিয়েটিভ পেশাজীবীদের জন্যই ডিজাইন করেছে নির্মাতা।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনকে ‘বলিউডি রোমান্টিক কমেডি’ বলল প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে লিখেছে- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলিউডের রোমান্টিক কমেডির চেয়েও বাস্তবতার সাথে কম মিল রয়েছে।’

প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরও বলেছে, ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ কৌশল ব্যবহার করছে, যা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রক্সি হিসেবে কাজ করা শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া এবং বাংলাদেশের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসম্মান করার উদ্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের যে জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলো গত জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে, তাকে টার্গেট করা হচ্ছে।

হাইব্রিড যুদ্ধের অংশ হিসেবে তথ্য পরিচালনা বা ‘অপতথ্য’ ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে লক্ষ্যবস্তুকে অভ্যন্তরীণ এবং তার স্বাভাবিক বন্ধু ও মিত্রদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়।

বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা সাধারণত একেবারে মনগড়া একটি গল্প দিয়ে শুরু হয়, যার কোনো বাস্তব ভিত্তি বা প্রমাণ থাকে না, বরং নামহীন ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বানানো হয় এবং তা বন্ধুত্বপূর্ণ বা নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

প্রেস উইং ফ্যাক্টস উল্লেখ করে-‘যদি গল্পটি যথেষ্ট চটকদার হয়, তাহলে অন্যান্য সংবাদমাধ্যম এটি তুলে নেবে এবং প্রচারের ফলে এটি বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘একপর্যায়ে, যারা বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু বিশদ বিশ্লেষণের সময় পান না, তারাও এই গল্পটি সত্য বলে বিশ্বাস করতে পারেন, যা মূলত একজন প্রোপাগান্ডাবিদের কল্পনাপ্রসূত ধারণা ছাড়া আর কিছুই না।’

ফ্যাক্টস আরও উল্লেখ করেছে, মিথ্যা প্রচারণা ও অপতথ্যে বিশ্বাস করে মানুষ যখন যার বিরুদ্ধে প্রচার হচ্ছে, তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে, তখন তা পুরোপুরি সফল হয়।

এই ক্ষেত্রে, প্রতিপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ ও তাদের নিজস্ব সার্বভৌম রাষ্ট্র পরিচালনার আকাঙ্ক্ষা। আর স্বেচ্ছায় এই মিথ্যা প্রচারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি।

ফ্যাক্টস আনন্দবাজারের উদ্দেশে বলেছে, ‘আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি প্রকৃত সাংবাদিকতা করবেন, যেখানে সত্য ঘটনা অনুসন্ধান করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, নাকি মিথ্যা প্রচারণার অংশ হিসেবে মিথ্যা গল্প ছড়িয়ে একটি বন্ধুপ্রতীম দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবেন?’

সম্পর্কিত নিবন্ধ