পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে খুন হলেন যুবক
Published: 19th, January 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে আব্দুর রহমান হৃদয় নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান হৃদয় উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। তিনি পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রি।
হৃদয়ের ছোট ভাই মো.
লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মোহাম্মদ ইব্রাহিম সমকালকে বলেন, মামলা দায়েরের পর জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করবে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে
পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পলিথিন কারখানায় অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অবৈধ পলিথিন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ১৪৩ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ও ৪২৫৭ কেজি পলিথিন তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান।
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের নিপু প্রিন্ট অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের হকার্স মার্কেটে নিপু প্রিন্ট অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির দায়ে প্রতিষ্ঠানের মালিককে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে মোট ৪ হাজার ৪০১ কেজি পলিথিন ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযানে নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান জানান, এই কারখানায় অবৈধভাবে পলিথিন তৈরি করা হয়, এমন অভিযোগে তাদের উপর নজরদারী ছিলো। কিন্তু তারা দিনের বেলায় কারখানা বন্ধ রাখে। তাই অভিযান সফল করা যাচ্ছিলো না। অভিযান এড়াতে রাতের বেলায় অবৈধ পলিথিন তৈরি করে তারা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়।
ঢাকা/সুজন/ইমন