চার দিনেও সন্ধান মেলেনি স্কুলছাত্র তাজিমের
Published: 19th, January 2025 GMT
আগৈলঝাড়ায় পয়সা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তাজিম নিখোঁজের চার দিন পেরিয়ে গেছে। এখনও তার খোঁজ মেলেনি। তাকে না পেয়ে পরিবারে চলছে আহাজারি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, পয়সাহাটের ব্যবসায়ী ফায়েক উজ্জামান ঘরামীর ছেলে তাজিম আহাম্মেদ ১৬ জানুয়ারি সকালে স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেলে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন। না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। রাতেই ফায়েক উজ্জামান আগৈলঝাড়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এসআই আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পয়সা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উত্তম কুমার বাড়ৈ জানান, তাজিম আহাম্মেদকে ক্লাস শুরুর আগে বিদ্যালয়ের মাঠে দেখা গেছে। তবে সে ক্লাসে আসেনি। হাজিরা খাতায় তার উপস্থিতি নেই।
আগৈলঝাড়া থানার এসআই আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাজিমের পরিবার, স্কুলের শিক্ষকসহ স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভুয়া পুলিশ’ বলে এসআইকে মারধর, ওয়াকিটকি ছিনতাই
চট্টগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে মারধর এবং মুঠোফোন ও ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তাফসীর ইমাম ও মো. সাইমন নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টার দিকে পতেঙ্গা থানার টহল টিমের দায়িত্বে থাকা এসআই ইউসুফ আলীর চোখে পড়ে চরপাড়াঘাট এলাকায় কিছু স্থানীয় যুবক মাদক (গাঁজা) সেবন করছেন। এসআই ইউসুফ আলী সেখানে গিয়ে যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবকেরা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। এসআই ইউসুফ আলী তাঁদের সতর্ক করে ছেড়ে দেন।
আধা ঘণ্টা পর বেশ কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে পতেঙ্গা সৈকতে ফিরে আসেন ভুল স্বীকার করা দুই যুবক। এই সময় এসআই ইউসুফ আলী তাঁর সঙ্গে থাকা টহল গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। যুবকেরা এসে তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি তো ভুয়া পুলিশ। আপনার আইডি কার্ড কই?’ এরপর মুহূর্তের মধ্যেই এসআই ইউসুফ আলীর ওপর আক্রমণ শুরু করেন। এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় তাঁকে। ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ওয়াকিটকি সেট, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পতেঙ্গা থানার পুলিশ এসআই ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতে অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে পতেঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।
পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে এসআই ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওয়াকিটকি, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু ও মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। তারা বখাটে প্রকৃতির।