খুলনাকে নিরাপদ মহানগরী গড়তে পুলিশের ৯ চ্যালেঞ্জ
Published: 19th, January 2025 GMT
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী খুলনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। নগরীতে বেড়েছে অপরাধ। খুলনাকে নিরাপদ নগর হিসেবে গড়ে তুলতে ৯টি বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে পুলিশ। ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পাঁচটি পরিকল্পনা নিয়েছে কেএমপি। এ ছাড়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অপরাধী গ্রেপ্তার, মাদক ও চুরি যাওয়া পণ্য উদ্ধারের কাজ চলছে।
রোববার কেএমপি সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।
চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে– পুলিশ সদস্যের সক্রিয়তা ও পেশাদারিত্বে ঘাটতি, নাগরিকের আইন মানার বিষয়ে উদাসীনতা, নগরীর বেশ কিছু রাস্তার করুণ দশা, নগরজুড়ে ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রমের কারণে রাস্তা কাটাকাটি, শিল্পকারখানা কম থাকার কারণে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা, মাদক কারবারি ও অবৈধ দখলদারিত্ব নিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, সন্তানের ব্যাপারে অভিভাবকের গাফিলতি, খেলাধুলাসহ অন্যান্য ইতিবাচক কর্মকাণ্ড কম থাকা।
কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ও কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। চলমান বিভিন্ন কার্যক্রমের বাইরে কেএমপি আরও কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে নগরবাসীর নিরাপত্তা-সচেতনতা বাড়াতে ‘অ্যাওয়ারনেস কার্ড’ তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকের সঙ্গে মতবিনিময় করে কার্ডগুলো বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা তৎপরতা ও সার্ভিলেন্স বাড়ানো হচ্ছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, খুব শিগগিরই কেসিসির সহায়তায় নগরীর ইজিবাইকচালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ প্রবণতা কমাতে সিসিটিভির আওতায় আসছে পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর
নারায়ণগঞ্জ শহরে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অপরাধ প্রবণতা কমাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ক্যামেরা স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
প্রাথমিকভাবে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া গোলচত্বর থেকে শুরু করে নূর মসজিদ, মেট্রোহল মোড়, ডাক বাংলো ও আর্মি মার্কেট পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন।
পর্যায়ক্রমে পুরো শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সোহেল রানাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় জলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, এই এলাকাটি হচ্ছে আমাদের নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র। এখানে আমাদের জাতীয় দিবস থেকে শুরু করে মেলা ও অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম হয়ে থাকে। তাই আমরা এই চাষাঢ়া এলাকাটাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে চেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমরা গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটির কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এর অধীনে অনেক কাজ চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় চাষাঢ়া থেকে শুরু করে ডাক বাংলো ও এপাশে নূর মসজিদ, আর্মি মার্কেট, মেট্রোহল মোড় পর্যন্ত এই পুরো এলাকা সিসি টিভির কাভারেজে নিয়ে এসেছি।
এখানে আমরা ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। ধীরে ধীরে আমরা পুরে শহরকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, সিসিটিভি আওতায় থাকলে আইনশৃঙ্খলা সহ নানা পরিস্থিতি নজরদারিতে অত্যন্ত সুবিধা জনক হবে। এতে করে কেউ কোনো ঘটনা ঘটিয়ে চলে গেলেও সিসিটিভির নজরদারির মাধ্যমে তাদেরকে সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জবাসীর নিরাপদ চলাচল, যানজট নিরসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমে জেলা প্রশাসক এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।