নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। আর যারা নিজেদেরকে স্বাধীনতার ঘোষণা দাবি করেন তিনি কিন্তু পশ্চিমাদের হাতে আত্মসমর্পণ করেছিল।

আর আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা কিন্তু সেই সময় ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কিন্তু বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় কেউ ছিলনা। যখন বাংলাদেশের মানুষ একটি নেতৃত্বশুন্য অবস্থায় তখনই একজন অক্ষত মেজর বাংলাদেশের হাল ধরেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন ।

তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে ক্ষান্ত থাকেননি। জেডফোর্স গঠন করে ৮নং সেক্টরে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে রণাঙ্গনে যুদ্ধ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও বিএনপি'র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে কিন্তু সে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ব্যারাকে চলে গিয়েছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে এদেশে বাকশাল কায়েম করেছিল। বাকশাল মানে বাংলাদেশের শুধু একটি মাত্র রাজনৈতিক দল থাকবে আর কোন দল থাকবে না।

বাকি সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চারটি পত্র পত্রিকা বাদে বাকি সব পত্রিকা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ দেশের দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। দেশের গণতন্ত্রকে সংসদে দাঁড়িয়ে ১১ মিনিটের মাথায় তারা গলা টিপে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগের হাত থেকে আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিল।

৭৫ সালের সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ যে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি পরিণত করেছিল তা থেকে বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ হিসাবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি করে তোলেন। আর ১৯ দফার মাধ্যমে উনি খাল খনন করে কৃষি বিপ্লব ও শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছিল। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হলো ৫ ই আগস্ট। সেই ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। তারেক রহমান আমাদের বিএনপি যুবদল ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে নির্দেশে ছাত্র জনতার সাথে থেকে আমরা এই পাশে ৫ আগস্ট সৃষ্টি করেছি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের ৪৮৭জন নেতাকর্মী নিহতের হয়েছেন।  আমাদের আসে অন্তবর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিবেন। আমরা এই সরকারের কাছে আবেদন করব অতি দ্রুত সময়ের মাধ্যমে সংস্কার শেষ করে আপনার একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেন।

আর সেই নির্বাচনে আমাদের বিএনপি চেয়ারপারসন  বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন হয়ে এদেশের ক্ষমতা বার গ্রহণ করবে বাংলাদেশের মানুষের এইটাই আশা। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহবুব উল্লাহ তপন, বরকত উল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়নাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ কর ছ ল ন র রহম ন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেলপাড়ায় আবাসিক এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশ দুষণকারী এম আলী টেক্সটাইল মিলটি দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। এসময় অনুলিপি হিসাবে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়া এলাকাবাসীর পক্ষে হাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ'র স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়া খেলার মাঠ এলাকাটি আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। একটি আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে  এম আলী টেক্সটাইল মিল নামে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে।

কারখানার মেশিনের বিকট শব্দ, বায়ু দুষন সহ নানা ধরনের সমস্যার কারণে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপন্ন করে তুলেছে। প্রতিনিয়ত কারখানা অগ্নিকান্ড সহ নানা ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে। এতে করে ঐ এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

কারখানার শব্দ দূষণ ও ভাইব্রেশনে এলাকা জুড়ে কাঁপতে থাকে। এতে করে এলাকার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে যেমন বিঘ্ন সৃষ্টি হয় তেমনি এই এলাকার বাসিন্দারা মনে আতঙ্ক নিয়ে রাতে ঘুমাতে হয়।

এভাবে মানুষের জীবন চলতে পারে না। তাই এই অবৈধ এম আলী টেক্সটাইল উচ্ছেদ করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে যা এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। 

অভিযোগ দায়েরের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহিদুল ইসলাম দেলপাড়ার লোকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে হাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এমনটাই জানিয়েছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী
  • শহরের ছিন্নমূল মানুষের পাশে মহানগর যুবদল নেতা কমল 
  • আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : প্রত্যুষ কুমার
  • আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : এসপি প্রত্যুষ কুমার
  • আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : এসপি প্রত্যুষ
  • বন্দরে বিএনপি নেতা হাফেজ আহমেদের রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
  • এখন কিছু বলতে গেলেই আন্দোলনে চলে যায়: না.গঞ্জ এসপি
  • চা পান করতে এসে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
  • ফারুক-মেহেদী নেতৃত্বে মোটর সাইকেল গ্যারেজ মালিক ও স্পেয়ার পার্টস দোকান মালিক সমিতি
  • ফতুল্লায় আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ