আরাকান আর্মির বিষয়ে তদন্ত করবে জাতিসংঘ
Published: 19th, January 2025 GMT
মিয়ানমারের স্বশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তদন্ত করবে জাতিসংঘ। মিয়ানমারে প্রবেশাধিকার না পেলেও বিভিন্ন উপায়ে সংস্থাটি তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান। রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো.
নিকোলাস কৌমজিয়ান বলেন, তদন্তের লক্ষ্যে আমরা তথ্যপ্রমাণাদি সংগ্রহ করছি। রোহিঙ্গা বা যে কেউ নির্যাতনের শিকার হলে, সে বিষয়ে তদন্তের এখতিয়ার আমাদের আছে।
মিয়ানমারে প্রবেশাধিকার না পেয়েও কীভাবে তদন্ত করবে জাতিসংঘ– জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমারে আমরা প্রবেশ করতে না পারলেও তদন্তের জন্য তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছি। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সোশ্যাল মিডিয়া, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা এসব সংগ্রহ করছি। তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’