শপথের একদিন আগে বিজয় র্যালি করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
Published: 19th, January 2025 GMT
দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার একদিন আগে রবিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয় র্যালি করতে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে ‘আমেরিকাকে আবার মহান করুন বিজয় সমাবেশ’ নামের অনুষ্ঠানটি শুরু হবে। ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মিছিল করার জন্য তার সমর্থকদের আহ্বান জানানোর পর ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের প্রথম বক্তৃতা হতে যাচ্ছে এটি। ওই বছর কংগ্রেসকে নির্বাচনের ফলাফল নিশ্চিত করতে বাধা দিতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ভবনটিতে প্রবেশ করেছিল। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত দেড় হাজারেরও বেশি সমর্থককে ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিজয় র্যালিতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং ট্রাম্পের প্রচারণায় ২৫ কোটি ডলার ব্যয়কারী ইলন মাস্ক বক্তৃতা দেবেন। এছাড়া ট্রাম্পের নিয়োগ দেওয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, আলটিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপের সিইও ডানা হোয়াইট, রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ক এবং রক্ষণশীল ভাষ্যকার মেগিন কেলি বক্তৃতা দেবেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’