আপনারা যত সহজ ভাবছেন, সামনের নির্বাচন এত সহজ নয়
Published: 19th, January 2025 GMT
‘‘আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ নয়, জনগণ ম্যাটারস’’— এ কথা স্মরণ করিয়ে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘আমি গত কয়েক মাস ধরে বলছি, সামনের নির্বাচন এত সহজ নয় আপনারা যত সহজ ভাবছেন। যতই বড়াই করুন যে বিএনপির শাখা-প্রশাখা একদম গ্রাম পর্যন্ত আছে…অন্যদের কী আছে? তাই তো বড়াই করছেন। থাকতে পারে শাখা-প্রশাখা, কিন্তু তারপরও জনগণ ম্যাটারস।’’
আরো পড়ুন:
বিজিবিকে মেরে মহিষ ছিনিয়ে নিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
বিএনপি নেতার বাড়িতে মিলল মাদক ও টাকা, স্ত্রী-ছেলে গ্রেপ্তার
‘‘জনগণ হচ্ছে আমাদের শক্তি, জনগণ হচ্ছে আমাদের সমর্থন। জনগণ ৫ আগস্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। কাজেই আমরা যদি ভুল করি জনগণ আবার কোনো একটা কিছু বুঝিয়ে দেবে…তখন কিন্তু পস্তাতে হবে’’, বলেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক বলেন, ‘‘এখনো সময় আছে আমরা জনগণের পাশে থাকি, জনগণের সাথে থাকি। যারা এমন কিছু করবে যা আপনাকে-আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, বা দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব।’’
বাবা জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘‘যদি শহীদ জিয়াকে সত্যিকারভাবে আমাদের স্মরণ করতে হয়, যদি শহীদ জিয়াকে সত্যিকারভাবে সম্মান জানাতে হয়… দেশনেত্রী সবচাইতে খুশি হবেন যখন দেখবেন জনগণ সমর্থন দিয়েছেন বিএনপির প্রতি।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা কে ছোট নেতা, কে গ্রামের নেতা, কে ইউনিয়নের নেতা, কে বড় নেতা, কে বিভাগীয় নেতা, কে কেন্দ্রীয় নেতা বিষয়টা এটি নয়। বিষয়টি হচ্ছে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে।’’
‘‘আমাদের এমনভাবে দাঁড়াতে হবে যেন জনগণ বোঝে যে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। জনগণ যেন বোঝে যে তারা যেভাবে চায় আমরা সেভাবেই আছি…জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা সেইভাবেই তাদের পাশে আছি। আজ রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে এই হোক আমাদের শপথ।’’
তারেক রহমান বলেন, ‘‘রাষ্ট্রের, সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে, সেটি জাতীয় সংসদ হোক, সেটি পৌরসভা হোক, সেটি ইউনিয়ন পরিষদ হোক যেটিই হোক না কেন, সমাজের সব স্তরে যদি আমরা জবাবদিহিতা তৈরি করতে পারি, তাহলে ধীরে ধীরে আমরা এগোতে সক্ষম হব।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সরকার যদি জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে প্রতিটি কাজের জন্য, তাহলেই জনগণের ক্ষোভ, দুর্দশা লাঘব করা সম্ভব হবে। জনগণের কথা, জনগণের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে সরকারের কাজের মাধ্যমে।’’
বিএনপি নেতাকর্মীদের ১৭ বছরের নির্যাতন-নিপীড়ন-মামলা-কারাভোগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘‘আমরা একটা গড় হিসাব জানি, বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে বিভিন্ন মিথ্যা-গায়েবি মামলা আছে। শুধু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে বিএনপির প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, হাজার নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে জখম হয়েছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘মানুষ হিসেবে হয়ত আমরা বিভ্রান্ত হতেই পারি, কিন্তু যে পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে এই মুহূর্তে আজ যেখানে এসে দাঁড়িয়েছি, আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো দয়া করে ওই মোটরসাইকেলওয়ালাদের ভিড় করতে দেবেন না। দয়া করে আপনারা বিভ্রান্তিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘সবাই বলে যে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, একটি স্বাভাবিক সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা আছে সরকার গঠনের। আমি আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই? মোটরসাইকেলওয়ালাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বা আমাদের কিছু নেতাকর্মী বিভ্রান্ত হয়ে যদি এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, যেখানে অন্য কেউ সরকার গঠন করল, তখন কী আপনি মনে করেন, আপনি ভালো থাকতে পারবেন? বিএনপির নেতাকর্মীরা কি ভালো থাকতে পারবেন?’’
‘‘কারা চলে যাবে, কী চলে আসবে আমরা জানি না। তবে তা আমাদের কারো জন্য ভালো হবে না। কোনো কারণে যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনার এতটুকু চিন্তা থাকতে হবে যে, অন্য কেউ যদি সরকার গঠন করে বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে হোক, আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে হোক, সেটি কি দেশ ও জাতির জন্য ভালো হবে,’’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘এখনো আমাদের সময় আছে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর, এখনো আমাদের সময় আছে মানুষ যেভাবে চায় সেভাবে চলার। দিনশেষে কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাকে এই জনগণের কাছে, ভোটারদের কাছে যেতে হবে।’’
‘‘একটি টকশো দেখছিলাম, আলোচক কথা প্রসঙ্গে বলছিলেন যে, এখনো বুঝে উঠতে পারছি না যে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। তারা আবার মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা যদি ভোটের মাঠে নামেন, কী চেহারায় হাজির হবেন? জুলাই-আগস্টে ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, প্রায় ৩০ হাজারের মতো মানুষকে জখম করেছে, ইউনিসেফের বক্তব্য অনুযায়ী প্রায় ৬৪ শিশুকে তারা হত্যা করেছে—সেই জবাব কিন্তু তাদের মানুষের কাছে দিতেই হবে,’’ বলেন তিনি।
‘বিএনপি নেতাকর্মীদেরও জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে’ মন্তব্য করে তারেক বলেন, ‘‘আমরা যদি সেইদিন আসা পর্যন্ত আমাদের মধ্যে কেউ যদি কোনো কিছু করে তখন জবাব আপনাকেও দিতে হবে…যখন আপনি ভোটের সময় মানুষের কাছে যাবেন তখন জবাব দিতে হবে। সে সময় মানুষ যদি বলে—এই লোক আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছে বা আমার প্রতি এই অন্যায়-অবিচার করেছে, তখন আপনি যদি বলেন, সে আমার কেউ না, তাতে কি ওই লোক মেনে নেবে? মেনে নেবে না।’’
‘‘আমাদের সামনে পরিষ্কার উদাহরণ আছে জনগণ যখন ক্ষিপ্ত হয়, জনগণ কীভাবে স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। এখনো এসব এই ধারা জ্বলজ্বল করছে। দিনশেষে জনগণই সব। আমরা সকলে সেই জনগণের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছি, সমর্থন পেতে হলে ভালোভাবে মানুষের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কেন আপনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে চোখ বন্ধ করে রাখবেন,’’ বলেন তিনি।
তারেক রহমান আরো বলেন, ‘‘নিজেকে যত বড় মনে করি না কেন, জনগণ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং নাম বলব না কিছু রাজনৈতিক শক্তি—যেই হোক না কেন, ছোট-বড় হোক না কেন, তারা বিভিন্নভাবে আমাদের বিপক্ষে এই মোটরসাইকেলওয়ালাদের কিছু কাজকর্মের কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের যুক্ত করে কিছু কিছু কথা বলার চেষ্টা করছে। আমাদের এ ব্যাপারে সর্তক ও শক্ত হতে হবে।’’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সঞ্চালনা করেন।
ঢাকা/নাজমুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব ন ত কর ম দ র সরক র গঠন র ন ত কর ম ন ব এনপ র জনগণ র ক কর ম র র জন ত র জন য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
১২নং ওয়ার্ড কমিটিতে ফ্যাসিবাদী দোসরের জায়গা হবে না : সজল
বিগত সাড়ে ১৫টি বছর আমরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি কোনদিন চিন্তা করতে পারিনি যে এই ১২ বার একাডেমী স্কুলে আমরা যুবদলের কর্মী সভা করবো। আল্লাহ আমাদের রহমত করেছে এদেশের ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ১২নং ওয়ার্ড যুবদলে আমাদের সাংগঠনিকভাবে দুর্বলতা আছে।
আমাদের সাংগঠনিকভাবে যুবদলকে শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু অতীতে এখানে যারা ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসররা ছিল তারা কিন্তু জনগণের মেন্ডেট নিয়ে ছিল না। বার একাডেমিতে খানপুরবাসী বারবার ভোট দিয়ে বিএনপিকে বিজয়ী করেছিল। ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ এই স্কুল থেকে কোনদিনই জয়লাভ করতে পারেনি।
একক প্রার্থী হিসেবে সিল মেরে তারা একাডেমি স্কুলের তারা যে বিগত সাড়ে ১৫ বছর জয়লাভ করেছে। এর আগে কখনও এই স্কুলে বিএনপির ভোট সব সময় বেশি ছিল। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির কোন ভোট ছিল না খুবই নগণ্য ছিল। খানপুরবাসী বিএনপি'র পক্ষে আছে। খানপুরের মুষ্টিময় কিছু লোকজন ব্যবহৃত হয়ে মানুষকে জুলুম নির্যাতনের নির্যাতন করেছে । আমরা সেই নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ১২নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। শনিবার (১ মার্চ) বিকেল তিনটায় শহরের খানপুর বার একাডেমী স্কুল মাঠে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় সজল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আজকে যে কথা বলতেছি আপনাদের সাথে কথা বলতেছি কারণ আমরা আপনাদেরকে উজ্জীবিত করতে চাই। আমরা জানতে চাই আপনাদের মাঝে কারা পরীক্ষিত লোক, কারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে । এই ১২নাম্বার ওয়ার্ডে জানতে চাই কারা বিগত সময়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিল।
১২নং ওয়ার্ড কমিটিতে ফ্যাসিবাদী দোসরের কেউ জায়গা পাবে না। যদি কেউ ঢুকতে চায় কেউ আমাদের কর্মীদের মাঝে মিশতে চায় আপনারা বলবেন এই কর্মী ফ্যাসিবাদী শক্তির সাথে ছিল আমাদের যুবদল করতে চায় আমরা তাকে যেনো কোনো সুযোগ না পায় সেই ব্যবস্থা করব। যারা রাজপথে আমাদের কষ্ট করেছেন তাদের অবশ্যই আমরা মূল্যায়ন করতে চাই।
কিন্তু বর্তমান যে পরিবর্তন ভাষা বুঝে কিন্তু আপনাকে রাজনীতি করতে হবে। জনগণের সাথে মিলিয়ে কিন্তু আপনার রাজনীতি করতে হবে । কারণ জনগণের চাওয়া পাওয়ার উপরে কিন্তু আপনার রাজনীতি আপনারা যেই ধরনের রাজনীতি করেছে বাংলাদেশ। কোন চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী জাতীয়তাবাদী যুবদলের জায়গা হবে না।
তিনি আরও বলেন, এখানে আমাদের একজন কর্মী বলেছেন বিগত সাড়ে ১৫ বছর আমরা ভোট দিতে পারেনি। কিভাবে আপনারা ভোট দিবেন আমরা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা সাড়ে ১৫বছর আন্দোলন করেছি ভোটের অধিকারের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
মানুষের ন্যায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বিষয়ে উনি ইসলাম সজল বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে।
আন্দোলনে বিভিন্ন নেতা কর্মীদের মুখে শুনেছি আমরা যখন আন্দোলন করেছি তখন কিন্তু কোন দল গঠন হবে সেই চিন্তা করে আন্দোলন করি নাই। লোভ লালসার পিছনে পড়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি নাই।
কারণ সরকার বিরোধী আন্দোলন সব শ্রেণীর মানুষের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল। সব শ্রেণীর মানুষ যখন সম্পৃক্ততা হয় না তখন কোনদিন কোন অভ্যুত্থান হয় না। কারো একক দাবি, চিন্তা ও শক্তির বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয় নাই।
এদেশের স্বাধীনতার পিছনে যেমন মায়েদের ভূমিকা আছে, তেমনি তার সন্তানের ভূমিকা আছে, ছাত্রদের ভূমিকা আছে একজন পিতার ভূমিকা আছে একজন সামরিক এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা যারা রিটার তাদের ভূমিকা ও আছে।
তখন এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে । কারণ শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সাড়ে ১৫বছর হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে এই দেশের অনেক মায়ের বুক খালি করেছে। অনেক ভাইয়ের বোনকে হারিয়েছে, অনেক স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছে। শেখ হাসিনা বিনা ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যারাই প্রতিবাদ করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই যে শক্তি নতুন দল গঠন করা হলো এই দলের পিছনে কারা পৃষ্ঠপোষকতা আছে এদেশের জনগণ জানতে চায়। এদেশের জনগণ জানতে চায় কিভাবে মানিক মিয়া এভিনিউর মতো জায়গায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে সারা বাংলাদেশ থেকে লোক জমায়েত করেছে এই লোক জমায়েতের অর্থের উৎসব এদেশের জনগণ জানতে চায় তাদের। তাদের উদ্দেশ্য কি তা তাদেরকে প্রকাশ করতে হবে।
আমি বলতে চাই আপনারা ভালো চিন্তা করে রাজনীতি করেন অবশ্যই আমাদের দলের নেতা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেব যেভাবে আপনাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা আপনাদেরকে স্বাগত জানাতে চাই কিন্তু।
আপনারা এই ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদের রক্তের উপর ভর করে আপনারা কোন রাষ্ট্রীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অপকর্ম ও ক্ষমতার চিন্তাভাবনা আমাদের পক্ষ থেকে বারণ করা হচ্ছে।
কারণ আমরা বলতে চাই কালকে শহীদ সাঈদের ভাই কালকে কিন্তু প্রত্যেকে টিভিতে বলেছে আমাদের ভাইদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতার যুদ্ধের সৃষ্টি হয়েছিল যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছিল সেই দল গঠন কিন্তু আমি এবং আমার পরিবারের কাউকে দাওয়াত করা হয়নি।
আমরা কি বলতে পারি যারা শহীদের যে রক্তের বিনিময় যেই দল সেই স্বাধীনতা হয়েছে সেই স্বাধীনতার অপব্যখ্যা আপনারা দিচ্ছেন অপচিন্তা করছেন অপরিকল্পনা করছেন। মানুষের হৃদয়ের কথা শুনতে এবং মানুষ যদি আপনাদের আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে ইনশল্লাহ আমরা নেব কিন্তু মানুষ ভোট না দিয়ে জোর করে কোন অপর চিন্তা করলে সেটা আমরা কিন্তু ক্ষমা করব না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেভাবে চিন্তা করবেন আপনাদের কিন্তু সেই ভাবেই রাজনীতি করতে হবে। আপনারা আমি কেউ কিন্তু এই দলের বাইরে না। এই দলের প্রধান তারেক রহমান সাহেব এদেশের মানুষের ধারণ করে মানুষের হৃদয়ের কথা বোঝার চেষ্টা করছেন। আপনাদেরকে বিপদ আপদ সুখ-দুঃখ মানুষের কাছে যেতে হবে।
আপনি খবর নেবেন আপনার পাশের বাড়ির ভাইটি ঠিকমতো আছে কিনা সে ভালোভাবে চলতে পারছে কিনা। এইসব খোঁজখবরও আপনি নিবেন আপনি যদি তাকে টাকা দিয়েন না উপকারও করতে পারেন কথা দিয়ে অন্তত থাকে আপনি কনটেস্ট করার চেষ্টা করবেন।
ভোটের মাধ্যমে কিন্তু জয়লাভ করতে হবে জনগণের ভোটের বাইরে আমাদের নেতা তারেক রহমান অন্য কোন চিন্তা কোনদিন করে নাই ।
জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যাকেই নেতৃত্ব যাকে নির্বাচিত করবে সেই আপনাদের আগামী দিনের নেতা হবেন আমি। জনগণ এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন আমাদের সহযোদ্ধা ভাইরা যদি কষ্ট পায় তাদের বলতে চাই আপনারা নিজেদের পরিবর্তন করেন আপনারা মানুষের চাওয়া পাওয়ার নির্ভর রাজনীতি হবে।
সমস্ত কর্মকাণ্ড এই জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য তারেক রহমান সাহেব ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে আমরা মানুষের কাছে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিব ।