জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
Published: 19th, January 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জোটভুক্ত দুটি সংগঠন। একইসঙ্গে তারা জোটের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দিয়েছে।
তাদের অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঐতিহাসিক পরাক্রম ও স্বকীয়তা রক্ষায় অপারগতা, নির্বাচনের সময় নির্দিষ্ট প্রার্থীদের ট্যাগিং করে তাদের নামে অপপ্রচার, গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক আন্দোলন সংগ্রামে নিরবতা, অন্যায়কে ধামাচাপা দেওয়া ইত্যাদি।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেন সাংস্কৃতিক জোটের সদ্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বান্না। এ সময় জোটভুক্ত সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার ও চিরকুটের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (টিএসসি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইসলাম মেঘকে আহ্বায়ক এবং বাংলা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবাইর ইসলাম জিয়ানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে মুখপাত্র করা হয়েছে বাংলা বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা কর্মকার।
এর আগে, সংবাদ সম্মেলনে জোটের অচলাবস্থা ও বিভিন্ন দুরাচারের বিষয়ে একটি লিখিত প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার টিএসসির সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদা মেহের আফরোজ শাওলি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট তার ঐতিহাসিক পরাক্রম ও স্বকীয়তা রক্ষায় অপারগ হয়েছে। গত ১ কার্যকরি বছরে আমরা দেখেছি সব জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত রাজনীতিতে তাদের নিষ্প্রভতা। কেবল তাই-ই নয়, এ নিশ্চুপতা ছাপিয়ে সামনে এসেছে তাদের জনবিচ্ছিন্নতা। আজ এ সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা বিশ্বাস করি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সব কর্মক্ষমতা বিনষ্ট করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের এ অনাচার প্রকট হয় গত নির্বাচন থেকেই। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের নামে যে প্রহসন পূর্ববর্তী কার্যকরী কমিটি করে গেছে, তা আদতে মাইলফলক হয়ে থাকবে। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক মনোয়নধারী দুই সংগঠনের কর্তাব্যাক্তির নামে গুপ্ত রাজনীতির প্রমাণবিহীন অপপ্রচার করে একটি নির্দিষ্ট পক্ষ ও ব্যক্তিবিশেষ নির্বাচনের স্বচ্ছতা, স্বতন্ত্রতা ও নিরেপেক্ষতা লঙ্ঘন করে।
নতুন কমিটির আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, “আগামীদিনে সাংস্কৃতিক জোটের হারানো ঐতিহ্য ও জৌলুস ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। এই কমিটি আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে জোটে আহ্বান করার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করবে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ ঙ গ রনগর স কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
আইইউবি থিয়েটারের আয়োজনে শেষ হলো দুই দিনের বৈশাখী নাট্যোৎসব
‘বৈশাখে হবে উৎসব, উৎসবে হবে নাটক’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আইইউবি থিয়েটারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আইইউবি থিয়েটার বৈশাখী নাট্যোৎসব ২০২৫’। ১৩ ও ১৪ এপ্রিল দুই দিনের উৎসবে মোট চারটি নাটক মঞ্চস্থ করে আইইউবি থিয়েটার, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, তীরন্দাজ রেপার্টরি এবং বটতলা থিয়েটার।
১৩ এপ্রিল উৎসবের উদ্বোধন করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিদার এ হোসেইন, উপাচার্য ম. তামিম, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন বখতিয়ার আহমেদ এবং আইইউবির মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান জাকির হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন আইইউবি থিয়েটারের সমন্বয়ক ও মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষক মমতাজ পারভিন।
উদ্বোধনের পর মঞ্চস্থ হয় আইইউবি থিয়েটারের ২৩তম প্রযোজনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কাব্যনাটক ‘তাসের দেশ’। এতে অভিনয় করেন আইইউবির শিক্ষার্থীরা। ১৩ এপ্রিল বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার মঞ্চস্থ করে তাদের ১১৩তম প্রযোজনা ‘দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। ১৪ এপ্রিলের প্রথম প্রযোজনা ছিল তীরন্দাজ রেপার্টরির ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। বিকেলে উৎসবের সর্বশেষ আয়োজন ছিল বটতলা থিয়েটারের দর্শকনন্দিত নাটক ‘খনা’।
নববর্ষের প্রথম দিনের সূর্যাস্তের মধ্যে দিয়ে আইইউবি থিয়েটারের বৈশাখী নাট্যোৎসব–১৪৩২-এর সমাপ্তি হয়।