সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের ভাই ও প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম শাহরিয়ারের দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, এবি এম শাহারিয়ার ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি প্রধানের পদসহ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এবি এম শাহরিয়ারকে অপরাধে প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছেন।

তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবি এম শাহারিয়ার সপরিবারে দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ আসামির ইমিগ্রেশন বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদানের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ৮ জানুয়ারি হারুন অর রশীদ ও এবি এম শাহরিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে হারুন, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও ভাই শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক। 

ঢাকা/মামুন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ