সড়কে যুবদলের কর্মিসভা করতে না দেওয়ায় কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও লাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

বাগমারা পূর্ব বাজারে আমিনুল ইসলাম সওদাগর ফিলিং স্টেশনের সামনে বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের কর্মিসভায় গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মোবাশ্বের। 

আজ রোববার এ বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ওনাকে আমি বলে দিচ্ছি, শেখ হাসিনাকে হটিয়েছি। আপনাকে লালমাই থেকে বিতাড়িত করার জন্য ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করব। সেই কর্মসূচিতে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব।’

লালমাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে কর্মিসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, মাওলানা জাকির হোসেন, লালমাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জাবের আহমেদ জাবেদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা খোরশেদ আলম লোকমান প্রমুখ।

এ বিষয়ে মোবাশ্বের সমকালকে বলেন, ‘দেশে কোথাও এখন বিএনপির সভায় প্রশাসন বাধা দেয় না। কিন্তু আমার এলাকায় তিনি এটা কেন করলেন? তিনি কার পারপাস সার্ভ করলেন। তাঁকে শুধরাতে হবে, না হয় চলে যেতে হবে।’

ইউএনও এহসান মুরাদ বলেন, ‘কুমিল্লা-বাঙ্গড্ডা বাইপাস সড়কের ওপর ছামিয়ানা টানিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করে কর্মিসভার আয়োজন করে বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদল। যানজট ও জনভোগান্তি এড়াতে আমি তাদের বিকল্প স্থানে সভা করতে বলেছিলাম। আমার প্রতি মনক্ষুণ্ন হয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন তারা।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ইউএনও য বদল র উপজ ল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বনভূমি থেকে ৫৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

গাজীপুরের শ্রীপুরে সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে ৫৬টি বসতবাড়ি ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ। এতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও বন বিভাগের চার শতাধিক সদস্য অংশ নেন।

উচ্ছেদকৃত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। অসহায় মানুষের চোখে-মুখে হতাশা, শিশুরা কাঁদছে, কেউ খোলা আকাশের নিচে বসে আছে। 

গাজীপুরের শ্রীপুরে সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযান

উপজেলা প্রশাসন জানায়, ৫ আগস্টের পরপরই শ্রীপুর রেঞ্জের সাতখামাইর বিটের তালতলী পেলাইদ ও সাইটালিয়া গ্রামে অবৈধভাবে বনভূমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু হয়। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, “সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। আজকের অভিযানে প্রায় ৪ একর বনভূমি উদ্ধার হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।”

তবে উচ্ছেদ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। অনেকের অভিযোগ, পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।

পোশাক শ্রমিক আকলিমা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “গার্মেন্টসে দিনরাত পরিশ্রম করে যা উপার্জন করেছি, তা দিয়েই একটি ঘর তুলেছিলাম। আজ সব শেষ। আমার মতো গরিবের ঘরটাই চোখে পড়ল?”

শ্রীপুরে সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ 

নূরুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। নিজের কোনো জমি নেই। কষ্ট করে একটা ঘর বানিয়েছিলাম। আমাদের আশপাশে তো কোনো গাছপালা নেই, বনই নেই। তাহলে কেন আমাদের ঘর ভাঙা হলো?”

এ বিষয়ে ইউএনও সজীব আহমেদ বলেন, “বনভূমি রক্ষায় আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। ৫ আগস্টের পর থেকে এই এলাকায় পরিকল্পিতভাবে বনভূমি দখলের চেষ্টা চলছিল। আজকের অভিযানে আমরা সেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি।”

ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল বনভূমি দখল করে হাজার হাজার স্থাপনা নির্মাণ করেছে। আমরা পর্যায়ক্রমে সব ভেঙে বনভূমি মুক্ত করব।”

ঢাকা/রফিক/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে ১০ মাটি খেকোকে কারাদণ্ড
  • পাঠাগার থেকে লুট হওয়া বই ফেরত পেলো কর্তৃপক্ষ
  • গরুর হাট বসাতে শ্মশান ভরাট
  • দিনাজপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২০০ বস্তা চাল জব্দ
  • দিনাজপুরে চালকলের গুদামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫ হাজার কেজি চাল জব্দ
  • পাঠাগারে ‘নাস্তিকদের’ বই, ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে লুটের অভিযোগ
  • ধামরাইয়ে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত
  • শ্রীপুরে বনের জমি উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান
  • সড়কে নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ, নির্মাণকাজ আটকে দিলেন ইউএনও
  • গাজীপুরে বনভূমি থেকে ৫৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ