সড়কে সভা করতে না পেরে ইউএনওকে বিএনপি নেতার হুমকি
Published: 19th, January 2025 GMT
সড়কে যুবদলের কর্মিসভা করতে না দেওয়ায় কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও লাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
বাগমারা পূর্ব বাজারে আমিনুল ইসলাম সওদাগর ফিলিং স্টেশনের সামনে বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের কর্মিসভায় গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মোবাশ্বের।
আজ রোববার এ বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ওনাকে আমি বলে দিচ্ছি, শেখ হাসিনাকে হটিয়েছি। আপনাকে লালমাই থেকে বিতাড়িত করার জন্য ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করব। সেই কর্মসূচিতে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব।’
লালমাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে কর্মিসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, মাওলানা জাকির হোসেন, লালমাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জাবের আহমেদ জাবেদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা খোরশেদ আলম লোকমান প্রমুখ।
এ বিষয়ে মোবাশ্বের সমকালকে বলেন, ‘দেশে কোথাও এখন বিএনপির সভায় প্রশাসন বাধা দেয় না। কিন্তু আমার এলাকায় তিনি এটা কেন করলেন? তিনি কার পারপাস সার্ভ করলেন। তাঁকে শুধরাতে হবে, না হয় চলে যেতে হবে।’
ইউএনও এহসান মুরাদ বলেন, ‘কুমিল্লা-বাঙ্গড্ডা বাইপাস সড়কের ওপর ছামিয়ানা টানিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করে কর্মিসভার আয়োজন করে বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদল। যানজট ও জনভোগান্তি এড়াতে আমি তাদের বিকল্প স্থানে সভা করতে বলেছিলাম। আমার প্রতি মনক্ষুণ্ন হয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন তারা।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ইউএনও য বদল র উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি পাইকারি আড়তের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে ১১টি যানবাহন অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় সংঘর্ষ হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মো. মেহেদী ইসলাম বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি
৫ আগস্টের শক্তির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কথা স্বীকার আদিলুরের
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, সাওঘাট এলাকায় বিসমিল্লাহ আড়তের দখল নিয়ে সেলিম প্রধান ও মজিবুরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কয়েকদিন আগে দুই পক্ষের লোকজনকে ডেকে আড়ত থেকে টাকা তুলতে নিষেধ করেন।
আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মজিবুরের লোকজন সেলিম প্রধানের অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় সেলিমের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইট, ককটেল ও গুলিবর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে স্বপন, রাজু, আলামিন, বাবু, রফিক ও সাগর নামে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় সেলিম প্রধানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরসহ ১০টি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার আগুনে পুড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ১১টি গুলির খোসা ও একটি তাজা ককটেলসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ