গোপালগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সিঙ্গারকুল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গুরুতর আহত মুসলিম শেখ (৭০), শহিদুল শেখ (৪০), আনোয়ার শেখ (৩০), রাসেল মোল্লা (৩২), কালন মোল্লা (৩৫), শাহ আলম মোল্লা (৪৮), বাবলু মোল্লা (৪৫), রাব্বি মোল্লা (১৯), বাবুল মোল্লা (৫৫) মিলন শেখ (২৫) ও মোহাম্মদ হৃদয় শেখ (১৯) মোট ১৫জন গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জমি-জমা নিয়ে সিঙ্গারকুল গ্রামের মুসলিম শেখের সাথে বাবলু মোল্লার দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্ট ধাওয়া ও পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৮ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পযর্ন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

ঢাকা/বাদল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের সোর্স ভেবে ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত 

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুলিশের সোর্স মনে করে নাজিম খান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তার প্রতিবেশী মাদক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

রবিবার (২ মার্চ) বিকেলে ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১ মার্চ) গভীর রাতে যৌথ বাহিনী নাজিমখান ইউনিয়নের রামকৃষ্ণ গ্রামের মন্ডল পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকজন মাদক কারবারীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এর মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান করে। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নিজাম সটকে পড়ে। এসময় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৯২১ গ্রাম গাঁজা এবং ১৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। 

আকটকৃতরা হলেন- বাছড়া মন্ডলপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে গণি মিয়া (৩৪) ও গকুলা গ্রামের মৃত আফসার আলী ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩২)।

পরদিন রবিবার বিকালে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে পুলিশের সোর্স ভেবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে কুপিয়ে জখম করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

মাদক ব্যবসায়ী নিজামের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। তার ভাই একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় সেই প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় মাদকের সয়লাব ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজারহাট থানা পুলিশের (ওসি-তদন্ত) তছলিম উদ্দিন বলেন, “কুপিয়ে আহত করার ঘটনা শুনেছি। তবে এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

ঢাকা/বাদশাহ্/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কোটা চালু করা হয়েছে: বিন ইয়ামিন
  • পুলিশের সোর্স ভেবে ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত