গোপালগঞ্জে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত ৩০
Published: 19th, January 2025 GMT
গোপালগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সিঙ্গারকুল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গুরুতর আহত মুসলিম শেখ (৭০), শহিদুল শেখ (৪০), আনোয়ার শেখ (৩০), রাসেল মোল্লা (৩২), কালন মোল্লা (৩৫), শাহ আলম মোল্লা (৪৮), বাবলু মোল্লা (৪৫), রাব্বি মোল্লা (১৯), বাবুল মোল্লা (৫৫) মিলন শেখ (২৫) ও মোহাম্মদ হৃদয় শেখ (১৯) মোট ১৫জন গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জমি-জমা নিয়ে সিঙ্গারকুল গ্রামের মুসলিম শেখের সাথে বাবলু মোল্লার দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্ট ধাওয়া ও পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৮ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পযর্ন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
ঢাকা/বাদল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রাচ হাতে, হুইলচেয়ারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মানববন্ধন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা সুচিকিৎসার দাবিতে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনে দেড় ঘণ্টা মানববন্ধন করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত শতাধিক আহত ব্যক্তি এই মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁরা বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই মানববন্ধনে পাশের চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও অংশ নেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, পঙ্গু হাসপাতালে বিভিন্ন তলায় চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে আহত ব্যক্তিরা হুইল চেয়ার ও ক্রাচে ভর করে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পাশের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা এই মানববন্ধনে যোগ দেন।
মানববন্ধনে আহত ব্যক্তিরা বলেন, গুলিতে আহত হয়ে তাঁরা মাসের পর মাস পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু তাঁরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সুচিকিৎসার অভাবে তাঁরা সুস্থ হচ্ছেন না। সুচিকিৎসা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিন পঙ্গু হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মাদ্রাসা ছাত্র মো. রাফি হোসাইন বলেন, ১৮ জুলাই শ্যামলী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা গুলির স্প্লিন্টার তাঁর ডান পায়ে লাগে। পরে ৫ আগস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা গুলি তাঁর দু হাতে লাগে। তাঁর দুই হাতেই ২৫০ স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে। এরপর থেকে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্প্লিন্টারের অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর দিন কাটছে। চিকিৎসকেরা ব্যথানাশক ট্যাবলেট দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আর কত দিন ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন-এই প্রশ্ন রাখেন।
রাফি বলেন, সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী শনিবার থেকে তাঁরা প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক মো. আবুল কেনান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন।