অন্তর্বর্তী সরকারের গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টার প্রতি জোর সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ক‌রে‌ছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্রসচিব মো.

জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বার্থ ভাগাভাগি ও অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনার জন্য নতুন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন।

ট্র্যাসি দুদেশের মধ্যে দৃঢ় অংশীদারত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পথ নির্ধারণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থনে জোর দেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার স‌ঙ্গে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বৈঠক নি‌য়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবাধিকার, শ্রম সংস্কার এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক আরো গভীর করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত সংস্কার পদক্ষেপের প্রশংসা ও সমর্থন করার জন্য মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণে মার্কিন সরকারের অব্যাহত সমর্থনকে পুনর্ব্যক্ত করেন। তি‌নি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য-নির্মাণের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বর্তমান অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কারের জন্য বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তি অর্জনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত ক‌রেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট গণত ন ত র ক সরক র র প র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ