চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা নিয়ে ‘টম অ্যান্ড জেরি’ খেলা আর চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘রাতেও পাহাড় কাটা হয়। এজন্য রাতে পাহারা দিতে হবে। এটি সবার দায়িত্ব।’

রোববার সকালে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পলিথিনবিরোধী ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্বার্থ শংকর কুন্ডু। বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া প্রমুখ।

পরে দুপুরে কাজির দেউড়ি বাজার ও বিকেলে নগরের আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় পরিদর্শন করেন সৈয়দা রিজওয়ানা। এ সময় কালিরছড়া খালের সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণে চসিক, সিডিএ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো দলের ব্যানারে কেউ পাহাড় কাটতে পারবেন মনে করলে ভুলে যান। সরকার এতদিন নমনীয়ভাবে সবকিছু করেছে। এখন আইনের প্রয়োগ করা হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির ফোনালাপ

যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।

মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ