প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশে ভারতীয় গৃহবধূ, বিজিবির হাতে আটক
Published: 19th, January 2025 GMT
সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন এক ভারতীয় গৃহবধূ। উদ্দেশ্য ছিল বিয়ে করে বাংলাদেশেই সংসার পাতবেন তারা। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের আটক করেছে বিজিবি।
দালালের মাধ্যমে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় প্রেমিকের সহযোগীসহ বিজিবির সদস্যদের হাতে আটক হয়েছেন ভারতীয় ওই গৃহবধূ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতাড়ী সীমান্তের ৯৩৩ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশে বালাতাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীন বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশি সহযোগীসহ আটক দুই ভারতীয় নাগরিককে ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার ধামাই গ্রামের বাবর আলী মন্ডলের মেয়ে এক সন্তানের জননী রেশমা মন্ডল (২৮), দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উশতি থানার গড়খালী গ্রামের দেবকুমার সাপুইয়ের ছেলে সৌরভ কুমার সাপুই (১৮) এবং সহযোগী কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কাশিরডারা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইউসুফ আলী (২২)।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, সন্ধ্যায় বিজিবি ভারতীয় এক নারী, এক যুবক ও তাদের সহযোগী এক বাংলাদেশীসহ তিন জনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
ঢাকা/বাদশাহ্/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’