রোহিঙ্গা গণহত্যা: আরাকান আর্মির বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে জাতিসংঘ
Published: 19th, January 2025 GMT
‘রোহিঙ্গা গণহত্যার’ অভিযোগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পর এবার আরাকান আর্মির বিরুদ্ধেও তদন্ত করার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন তদন্ত সংস্থার (আইআইএমএম) প্রধান নিকোলাস কৌমিজিয়ান।
নিকোলাস কৌমিজিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘২০১১ সাল থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে অপরাধ করছে, তা জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সেজন্য আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করছি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সহায়তা করছে।’’
তদন্ত সংস্থা প্রধান আরো বলেন, ‘‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমরা মিয়ানমারকে এই বার্তা দিতে চাই, কোনো একটি সংস্থা অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করছে। কোনো একদিন অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে।’’
নিকোলাস কৌমিজিয়ান বলেন, ‘‘মিয়ানমারের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এখন অনেক বেড়েছে। মিলিটারি বোমা ফেলছে, অন্যরাও মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে।’’
সশস্ত্র বাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের ফেরত পাঠাতে দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হলেও এখনও পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো যায়নি।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
আ. লীগের হরতাল-অবরোধ ঘিরে কঠোর হবে সরকার: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চায়, যতক্ষণ না তাদের দোষী নেতাকর্মীদের বিচারের মুখোমুখি না হয় এবং যতদিন পর্যন্ত দলটির বর্তমান নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে বের হয়ে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া সম্ভব না।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের প্রতিবাদ করতে দিয়েছিল?
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পরদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান প্রেস সচিব।
পোস্টে তিনি লিখেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ বন্ধ করেনি। গত সাড়ে পাঁচ মাসে শুধুমাত্র ঢাকাতেই অন্তত ১৩৬টি প্রতিবাদ হয়েছে। এর কিছু প্রতিবাদ ব্যাপক যানজটের কারণ হয়েছে। তবুও, অন্তর্বর্তী সরকার কখনো প্রতিবাদে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।
জুলাই অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্ট মাসের ভিডিও ফুটেজ স্পষ্টভাবে দেখায় যে, আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার জন্য দায়ী। তিনি প্রশ্ন রাখেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলকে কি প্রতিবাদের সুযোগ দেওয়া উচিত?
প্রেস সচিব লিখেন, বিশ্বের কোনো দেশই খুনি ও দুর্নীতিবাজদের পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ দেয় না। অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে এবং হত্যাকারীদের নেতৃত্বে যে কোনো প্রতিবাদকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না। আওয়ামী লীগ ও তাদের ব্যানারে অন্য কেউ অবৈধ প্রতিবাদ করতে চাইলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: বিসিসি