রাজধানীতে কাওলা ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাওলায় এবং ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরা হলেন- অঙ্কিতা মজুমদার (২৫) ও অজ্ঞাতনামা (৬০) এক বৃদ্ধা।

ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
 
বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো.

বজলুর রশীদ সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অঙ্কিতার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়াচর থানা এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত উজ্জ্বল মজুমদার। উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডে একটি বাসায় সাবলেট থাকতেন তিনি। বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
 
তিনি আরো উল্লেখ করেন, অঙ্কিতা ৬ বছর আগে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নয়ন ইসলাম নামে একজনকে বিয়ে করেন। তবে চাকরির সুবাদে অঙ্কিতা এবং তার স্বামী নয়ন ভিন্ন জায়গায় থাকেন।
 
উপ-পরিদর্শক মো. বজলুর রশীদ বলেন, অঙ্কিতার রুমমেটের মাধ্যমে জানা যায়, ফোনে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ এবং কথা কাটাকাটি হত। রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন অঙ্কিতা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
 
অপরদিকে, এসআই বজলুর রশিদ উল্লেখ করেন, ষাটোর্ধ অজ্ঞাতনামা ওই নারী ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। রোববার ভোরে ক্যান্টনমেন্ট স্টাফ রোড রেলগেট এলাকায় কমলাপুরগামী ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। খবর পেয়ে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুটি ঘটনায় আলাদা আলাদা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঝালকাঠিতে পানির দাবিতে পৌরসভা ঘেরাও, বিক্ষোভ

ঝালকাঠি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ সময় মিলছে না পৌরসভার সরবরাহ করা পানি। দুই বছর ধরে চরম দুর্ভোগে আছেন এই ওয়ার্ডের ১৫ হাজার বাসিন্দা। পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের দাবিতে পৌরসভা ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন তারা। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে শত শত নারী- পুরুষ পৌরসভা ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা এক ঘণ্টা ধরে ভবন ঘেরাও করে রাখেন। পরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। 

৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি, লঞ্চঘাট, কলাবাগান, পৌর খেয়া ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মিলছে না পৌরসভার সরবরাহ করা পানি। প্রায় দুই বছর ধরে দিনের বেশিরভাগ সময়ই পানি পাচ্ছেন না এসব এলাকার বাসিন্দারা। গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হওয়ার পর পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। খাওয়া, গোসল, রান্নার কাজে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পাম্প নষ্ট হওয়া ও নাজুক সরবরাহ ব্যবস্থার অজুহাত দিয়ে নিজেদের গাফিলতি আড়াল করছে কর্তৃপক্ষ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা আনিস হাওলাদার, কাঠপট্টি এলাকার মিলন মৃধা, লিজা আক্তার ও পারভিন বেগম। 

ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখার দায়িত্বে) কামরুল হাসান বলেন, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের জন্য সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়ন করে শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান করা হবে। 

ঢাকা/অলোক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ