বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ২ যুবক আটক
Published: 19th, January 2025 GMT
ভারত থেকে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে অনুপ্রবেশের সময় দুই যুবককে আটক করেছে বিজিবি।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে এতথ্য জানান ২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মো. ইমতিয়াজ।
এর আগে, আজ সকালে জেলার মাধবপুর উপজেলার সোয়াবই এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আড়াই শতাধিক আসামির জামিন, মুক্তি মিলবে ২ দিন পর
বিজিবিকে মেরে মহিষ ছিনিয়ে নিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
আটককৃতরা হলেন-কুমিল্লার মানোয়ারগঞ্জ উপজেলার খিলা গ্রামের মৃত বদিউল আলমের ছেলে মো.
বিজিবি জানায়, আটককৃতরা মাসখানেক আগে দর্জির কাজের জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের তামিলনাড়ুতে যান। আজ সকালে তারা ভারতীয় মানবপাচারকারীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ফেরত আসার চেষ্টা করেন। ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হরষপুর বিওপির টহল দল তাকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল, বাংলাদেশি নগদ ৪ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মো. ইমতিয়াজ জানান, সীমান্তে বিজিবি চোরালচালান, মানবপাচার রোধসহ যে কোনো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সতর্ক আছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।