বিএনপির বরিশাল বিভাগের দলনেতা কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু দু’দিন ধরে বরিশালে। স্থানীয় নেতাদের দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে তার সামনেই ধাক্কাধাক্কি, বাগবিতণ্ডাসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। 

শনিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির সভা চলাকালে দু’পক্ষ তর্কাতর্কিতে জড়ায়। রোববার সকালে স্থানীয় একটি হোটেলে ধাক্কাধাক্কি করেন দুই নেতা। দুপুরে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন সভাতেও দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন গ্র্যান্ড পার্ক হোটেলে আব্দুল আউয়াল মিন্টুর সঙ্গে দেখা করেন। কর্মী সভার ব্যানারে নাম না থাকায় প্রতিক্রিয়া দেখান নাসরিন। ওই সময় মিন্টুর সামনে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের সঙ্গে নাসরিনের বাকবিতণ্ডা হয়। 

নাসরিন বলেন, দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মীসভায় তাকে দাওয়াত পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তাই সবার সামনে এর কারণ জানতে চেয়েছি। 

ওই ঘটনার পরই পদবঞ্চিত একদল নেতা মিন্টুর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় আহ্বায়ক ফারুকের সঙ্গে সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আহসান কবির হাসানের তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। 

এ ব্যাপারে হাসান বলেন, ‘আপনারা যা শুনেছেন সবই সত্য। ফারুকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে বরিশাল ক্লাবে মিন্টুর ঘরোয়া বৈঠকে জানতে চেয়েছি, আমরা পদবঞ্চিতরা কি বাদ যাবো?  মিন্টু ভাই আগামীর কমিটিতে সমন্বয় করার আশ্বাস দিয়েছেন।’

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাউন হলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মীসভায় কয়েক দফা উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সভায়ও প্রধান অতিথি ছিলেন মিন্টু। 

এর আগে শনিবার বিকেলে মহানগর বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে মতিন শীর্ষ নেতা ফারুক, জিয়া ও নাসরিনের মধ্যে কয়েক দফা কথা কাটাকাটি হয়। এসময় উপস্থিত মিন্টু সবার মতামতে কমিটি করার আশ্বাস দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ বর শ ল ব এনপ র র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ