সাংগঠনিক দলনেতা মিন্টুর সামনেই ধাক্কাধাক্কি, বিতণ্ডা
Published: 19th, January 2025 GMT
বিএনপির বরিশাল বিভাগের দলনেতা কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু দু’দিন ধরে বরিশালে। স্থানীয় নেতাদের দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে তার সামনেই ধাক্কাধাক্কি, বাগবিতণ্ডাসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।
শনিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির সভা চলাকালে দু’পক্ষ তর্কাতর্কিতে জড়ায়। রোববার সকালে স্থানীয় একটি হোটেলে ধাক্কাধাক্কি করেন দুই নেতা। দুপুরে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন সভাতেও দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন গ্র্যান্ড পার্ক হোটেলে আব্দুল আউয়াল মিন্টুর সঙ্গে দেখা করেন। কর্মী সভার ব্যানারে নাম না থাকায় প্রতিক্রিয়া দেখান নাসরিন। ওই সময় মিন্টুর সামনে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের সঙ্গে নাসরিনের বাকবিতণ্ডা হয়।
নাসরিন বলেন, দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মীসভায় তাকে দাওয়াত পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তাই সবার সামনে এর কারণ জানতে চেয়েছি।
ওই ঘটনার পরই পদবঞ্চিত একদল নেতা মিন্টুর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় আহ্বায়ক ফারুকের সঙ্গে সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আহসান কবির হাসানের তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।
এ ব্যাপারে হাসান বলেন, ‘আপনারা যা শুনেছেন সবই সত্য। ফারুকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে বরিশাল ক্লাবে মিন্টুর ঘরোয়া বৈঠকে জানতে চেয়েছি, আমরা পদবঞ্চিতরা কি বাদ যাবো? মিন্টু ভাই আগামীর কমিটিতে সমন্বয় করার আশ্বাস দিয়েছেন।’
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাউন হলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মীসভায় কয়েক দফা উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সভায়ও প্রধান অতিথি ছিলেন মিন্টু।
এর আগে শনিবার বিকেলে মহানগর বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে মতিন শীর্ষ নেতা ফারুক, জিয়া ও নাসরিনের মধ্যে কয়েক দফা কথা কাটাকাটি হয়। এসময় উপস্থিত মিন্টু সবার মতামতে কমিটি করার আশ্বাস দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ বর শ ল ব এনপ র র স মন
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বাতিলে আলটিমেটাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্যঘোষিত নাটোর জেলা কমিটি ১২ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল না করলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পদবঞ্চিতসহ একটি পক্ষ। গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা। এ সময় তারা আগের আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি ২৯৫ জনকে সদস্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে কেন্দ্রীয় সব কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তারা। কিন্তু আগের কমিটি বিলুপ্ত না করে হঠাৎ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে দুই শতাধিক সদস্যের আরেকটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। ছয় মাসমেয়াদি এ কমিটির বেশির ভাগ সদস্য আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন না। পরিবারতন্ত্র এবং একই ব্যক্তি একাধিক স্থানে রেখে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা সংগঠনের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নাটোর জেলার আগের কমিটির সদস্য সচিব মশিউর রহমান ফুয়াদ বলেন, ছাত্রদের ন্যায়সংগত দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নবগঠিত কমিটি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় নাটোরের রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক সরকার, সদস্য মেহেদী হাসান, মিনহাজুল আবেদীন, শাহরিয়ার তামিম, সুব্রত দেবসহ পদবঞ্চিতরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ মিম বলেন, সংবাদ সম্মেলনে হাতে গোনা দুই থেকে তিনজন আন্দোলনকারী ছিলেন। তারা নতুন কমিটিতেও রয়েছেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির দু’জনকেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে দেখলাম, যা দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বা নামে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হলে কঠোরভাবে তা প্রতিরোধ করা হবে।