রক্ত ঝরলেও সীমান্তে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 19th, January 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘রক্ত ঝরলেও দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’ রোববার দুপুরে তেজগাঁওয়ের ভূমি ভবনে বিসিএস ক্যাডার ও জুডিশিয়াল সার্ভিস কর্মকর্তাদের সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধান ও গাছ কাটা নিয়ে দুইপক্ষে সংঘর্ষে হয়েছে। এতে দুইপক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান হয়েছে। জনগণ সরকারকে সাহায্য করছে। সীমান্তে বিজিবি সতর্ক রয়েছে। আমরা আমাদের অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার রয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আগে কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন সেটা করা হচ্ছে বলেই সমস্যা সামনে আসছে।’
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড.
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভূমির মালিকানা নিয়ে দেওয়ানি আদালতে যুগ যুগ ধরে চলমান হাজার-হাজার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ভূমি সেবা আরও সহজ করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ও মিউটেশন প্রক্রিয়া আরো জনবান্ধব করতে হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ