আফিফ-বোসিস্টোর ফিফটির পর অঙ্কনের ঝড়
Published: 19th, January 2025 GMT
প্রতিশোধের ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়েছে খুলনা টাইগার্স। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে খুলনা টাইগার্স ৪ উইকেটে ২০৯ রান করেছে।
দুই দলের প্রথম মুখোমুখিতে দুর্বার রাজশাহী সিলেটে ২৮ রানে হারিয়েছিল খুলনাকে। খুলনার ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করেছেন। এবার বোলারদের পালা।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন আফিফ হোসেন। ৫৫ রান আসে বোসিস্টোর ব্যাট থেকে। দুজনের ফিফটিতে খুলনার রান দুইশর কাছাকাছি যায়। সেটাকে দুইশ পেরিয়ে নিয়ে যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ দিকে ১২ বলে ৩০ রান করেন ৪ ছক্কায়।
আরো পড়ুন:
মায়ের মৃত্যুতে খালেদকে শোক জানিয়ে যা বলেছিলেন মালান
বলব না, টি-টোয়েন্টির জন্য খুব খুব ভালো উইকেট: তামিম
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস শুরু থেকেই ছিল ছন্দে খুলনা। আগ্রাসী শুরু এনে দেন নাঈম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই স্পিনার সানজামুল ও জিসানের ওপর চড়াও হয়ে ৩.
২টি করে চার ও ছক্কায় ১৪ বলে ২৭ রান করে নাঈম জিসানের বলে বোল্ড হন। অন্যদিকে ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রান করে মিরাজ। পঞ্চম ওভারে তাকে থামান পেসার তাসকিন। প্রথমবারের মতো খেলতে আসা অ্যালেক্স রস চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ৩ বলে ১ রান করে ফেরেন রান আউট হয়ে।
৬ ওভার শেষে ৩ উইকেটে খুলনার রান ৬০ রান। পাওয়ার প্লে’র কাজটা ঠিকঠাক হলেও উইকেট একটু বেশিই হারিয়েছিল। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন আফিফ ও বোসিস্টো। তাদের ৭৫ বলে ১১৩ রনের জুটিতেই পাল্টে যায় দলের স্কোরবোর্ডের চিত্র। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বলের মেরিট অনুযায়ী খেলে অনায়েসে রান তোলেন তারা।
শেষ তিন ম্যাচে আফিফের রান ছিল যথাক্রমে ৩৩, ২৯ ও ২০। এবার ভালো শুরুর পর পেয়েছেন প্রথম ফিফটির স্বাদ। ৪২ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৫৬ রান। স্পিনার ডেয়ালকে মারা একটি ছক্কা ছিল ১১৩ মিটারের।
ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডারে নেমে বোসিস্টিও সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। ৩৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫৫ রান।
পরের গল্পটা শুধুই মাহিদুলের। ১৯তম ওভারে মৃত্যুঞ্জয়কে দুই ছক্কা উড়ানোর পর শেষ ওভারে তাসকিনের বলেও দুই ছক্কা পান হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। তার শেষ ৩০ রানই গড়ে দেয় ব্যবধান।
শেষ ওভার বাদে তাসকিন ছিলেন দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে ৩৬ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। ১ উইকেট নেন জিসান আলম।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
জয়পুরহাটে অর্থ আত্মসাতের মামলায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থাপক আবার গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের মামলায় ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখার ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানাকে (৩৫) আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী আজ সোমবার সকালে বলেন, আজ গ্রেপ্তার রিজওয়ানা ফারজানাকে আদালতে পাঠানো হবে। মামলার আরও দুই আসামি পলাতক। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিজওয়ানা আক্কেলপুর পৌর শহরের হাজিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। এজেন্ট ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পর থেকে তিনি আক্কেলপুর শাখায় কর্মরত। এজেন্ট ব্যাংকে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫টি মামলা হয়েছে। আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ জন গ্রাহক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এসব ভুক্তভোগীর দাবি, এখন পর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও অভিযোগকারীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখায় গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই দিন ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, এসব টাকায় গ্রামে জমি কেনার পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পদ অর্জন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর স্বীকারোক্তির ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই ব্যাংকটির কার্যালয় থেকে ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা, ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা ও এজেন্ট জাহিদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে এক গ্রাহক ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এক দিন পরই তাঁরা তিনজন জামিনে মুক্তি পান।
ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা টাকা ফেরতসহ জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে ৯ এপ্রিল আক্কেলপুর পৌর শহর ও ১৩ এপ্রিল জয়পুরহাট শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁরা ব্যাংকটির জেলা শাখায় ধরনা দিয়েও টাকা ফেরতের কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগী গ্রাহক ও আক্কেলপুর এফ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম মণ্ডল বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পেয়েছি। এখনো অনেকেই তাঁদের ব্যাংক হিসেবের খোঁজ নিতে পারেননি। এজেন্টের জামানতের টাকাও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই। এই টাকা তাঁরা কীভাবে সরালেন, সেটা ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার কর্মকর্তাদের জানার কথা।’