ছাত্রবাসে সিট পেতে লাগবে ডোপ টেস্ট সনদ
Published: 19th, January 2025 GMT
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শহীদ সাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসে আসন বরাদ্দপ্রাপ্ত ছাত্রদের বাধ্যতামূলকভাবে ডোপ টেস্ট (রক্তে মাদক পরীক্ষা) সনদ জমা দিতে হবে। এ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হলে আসন বরাদ্দ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) হোস্টেল সুপারের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে আসন বরাদ্দপ্রাপ্তির আবেদনের জন্য প্রদত্ত শর্তসমূহে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শহীদ সাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসে চলতি মাসের ৩০ তারিখ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমিত সংখ্যক আসন বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ। রবিবার ও সোমবার (১৯ ও ২০ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীদের আসন পেতে ছাত্রাবাসের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। তবে হোস্টেলে আসন পেতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে ডোপ টেস্ট সনদ জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
লালমনিরহাটে পুষ্টি ক্যান্টিন কর্মসূচির উদ্বোধন
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শহীদ সাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসের সহ-সুপার মো.
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শেখ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “এখানে যোগদানের পর থেকে ছোট ছোট কিছু ইতিবাচক কাজ করার চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে সাধারণত দূর-দূরান্ত থেকে অভিভাবকরা সন্তানদের পড়ালেখার জন্য পাঠান। চলার পথে অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “এ ধরনের আসক্তিতে জড়ালে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একটি জটিল প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে- বিষয়টি মাথায় থাকলে একজন শিক্ষার্থী এ ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়বে না। ডোপ টেস্টে অনুত্তীর্ণ হলে আসন বরাদ্দ বাতিল করা হবে। মাদক নির্মূলে সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদের এ ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনের এক শহীদের কলেজছাত্রী মেয়ের (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) ৯টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে। তিনি গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কমল চন্দ্র ধর জানান, ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে তার স্বজনরা জানান, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলো। বিচার হবে কিনা তা নিয়েও তার মনের মধ্যে শঙ্কা ছিল। এ কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই কলেজছাত্রীর এক চাচা রাইজিংবিডিকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার ভাই গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাকে দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
তিনি আরো জানান, ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তার ভাতিজি। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তাঁর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। এরপর ভুক্তভোগী ২০ মার্চ থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়। এ ঘটনার পর এজাহারভুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।