ডাকসুর গঠনতন্ত্রের সভাপতি পদে ছাত্র নেতৃত্বসহ ডাকসুর গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ১৮টি ধারায় সংশোধনীর প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। এ সংশোধনী বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ডাকসুকে একটি অধিক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা তাদের।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্পাদক সাকিবুর রনি। 

তিনি বলেন, “ছাত্র ফেডারেশন তার প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে গেছে। ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চা ও অধিকার রক্ষায় নির্বাচিত ছাত্র সংসদের কোন বিকল্প নেই। ডাকসুকে একটি স্বাধীন,কার্যকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ করে দিতে হলে গঠনতন্ত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।”

তাদের উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- যারা বৈধ শিক্ষার্থী, তারাই ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবে; লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ধারণ ও লালন করা’ এর পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ এবং ২৪ এর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মূল্যবোধকে ধারণ ও লালন করা; ডাকসুর সভাপতি হবেন শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ছাত্রনেতা।

এছাড়া, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের পরিবর্তে রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক; নির্বাচনের তারিখ সভাপতি নয়, বরং প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে বা সপ্তাহে ডাকসু নির্বাচন নির্ধারিত থাকবে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে সংযুক্ত থাকতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক আরমানুল হক, সদস্য সীমা আক্তার, হাসিবুর রহমান, সিদরাতুল মুনতাহা ওহী প্রমুখ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণত ন ত র ক

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ