কোয়ার্টার ফানালেই মুখোমুখি জোকোভিচের-আলকারাজ
Published: 19th, January 2025 GMT
ব্যাপারটা আগেই ধারনা করা যাচ্ছিল যে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বর্তমান সময়ের সেরা দুই টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ এবং কার্লোস আলকারাজ। তবে তার আগে তো দু’জনকেই শেষ আটে পৌঁছাতে হবে, তাই না? আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি, ২০২৫) সেই কাজটাই সারলেন দুইজন।
চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে চেক রিপাবলিকের ইজি লেহেচকাকে হারিয়ে জোকোভিচ উঠে গেছেন শেষ আটে। অন্যদিকে ব্রিটিশ জ্যাক ড্রেপার চোটের কারনে সরে দাঁড়ালে ওয়াক ওভার পান আলকারাজ। সুতরাং কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে আর কোন বাঁধা নেই দুই তারকার। রজার ফেদেরার-রাফায়েল নাদাল যুগের পর এখন জোকোভিচ-আলকারাজ দ্বৈরথই সারা পৃথিবীর টেনিসপ্রেমীদের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত। যদিও এই দুই তারকার বয়সের পার্থক্য ১৬ বছরের!
এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জোকোভিচের লক্ষ্য ক্যারিয়ারের ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়। পুরুষ কিংবা নারী এককে এখন পর্যন্ত কোন টেনিস প্লেয়ারই ২৫টি গ্র্যান্ড স্লামের স্বাদ পাননি। ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক এই সার্বিয়ানের সামনে এখন পথের কাঁটা আলকারাজ।
আরো পড়ুন:
ফেদেরারকে পেছনে ফেলার ম্যাচে প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভাসালেন জোকোভিচ
১১.
আজ জোকোভিচ সরাসরি ৬-৩, ৬-৪, ৭-৬ (৭-৪) গেমে হারিয়েছেন ২৪তম বাছাই লেহেচকাকে। প্রথম দু’টি সেট সহজে জিতলেও তৃতীয় সেটটি জিততে টাইব্রেকারে যেতে হয় জোকোভিচকে।
অন্যদিকে ড্রেপার দু’টি সেটের পর ম্যাচ ছাড়তে বাধ্য হন চোটের কারণে। ম্যাচ শেষ হওয়ার সময় আলকারাজ এগিয়ে ছিলেন ৭-৫, ৬-১ গেমে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবেন এই দু’জন। এর আগের সাত বারের দেখায় চার বার জিতেছেন জোকোভিচ। অন্যদিকে আলকারাজের জয় তিনটি। তবে সাত বারই তাঁরা সেমিফাইনাল বা ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন। এই প্রথম বার কোয়ার্টার ফাইনালেই একে অপরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’