ব্যাপারটা আগেই ধারনা করা যাচ্ছিল যে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বর্তমান সময়ের সেরা দুই টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ এবং কার্লোস আলকারাজ। তবে তার আগে তো দু’জনকেই শেষ আটে পৌঁছাতে হবে, তাই না? আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি, ২০২৫) সেই কাজটাই সারলেন দুইজন।

চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে চেক রিপাবলিকের ইজি লেহেচকাকে হারিয়ে জোকোভিচ উঠে গেছেন শেষ আটে। অন্যদিকে ব্রিটিশ জ্যাক ড্রেপার চোটের কারনে সরে দাঁড়ালে ওয়াক ওভার পান আলকারাজ। সুতরাং কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে আর কোন বাঁধা নেই দুই তারকার। রজার ফেদেরার-রাফায়েল নাদাল যুগের পর এখন জোকোভিচ-আলকারাজ দ্বৈরথই সারা পৃথিবীর টেনিসপ্রেমীদের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত। যদিও এই দুই তারকার বয়সের পার্থক্য ১৬ বছরের!

এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জোকোভিচের লক্ষ্য ক্যারিয়ারের ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়। পুরুষ কিংবা নারী এককে এখন পর্যন্ত কোন টেনিস প্লেয়ারই ২৫টি গ্র্যান্ড স্লামের স্বাদ পাননি। ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক এই সার্বিয়ানের সামনে এখন পথের কাঁটা আলকারাজ।

আরো পড়ুন:

ফেদেরারকে পেছনে ফেলার ম্যাচে প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভাসালেন জোকোভিচ

১১.

৫৬ শতাংশ বাড়ল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রাইজমানি

আজ জোকোভিচ সরাসরি ৬-৩, ৬-৪, ৭-৬ (৭-৪) গেমে হারিয়েছেন ২৪তম বাছাই লেহেচকাকে। প্রথম দু’টি সেট সহজে জিতলেও তৃতীয় সেটটি জিততে টাইব্রেকারে যেতে হয় জোকোভিচকে।

অন্যদিকে ড্রেপার দু’টি সেটের পর ম্যাচ ছাড়তে বাধ্য হন চোটের কারণে। ম্যাচ শেষ হওয়ার সময় আলকারাজ এগিয়ে ছিলেন ৭-৫, ৬-১ গেমে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবেন এই দু’জন। এর আগের সাত বারের দেখায় চার বার জিতেছেন জোকোভিচ। অন্যদিকে আলকারাজের জয় তিনটি। তবে সাত বারই তাঁরা সেমিফাইনাল বা ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন। এই প্রথম বার কোয়ার্টার ফাইনালেই একে অপরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। 
 

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় দুই মাসে ২১৩ শ্রমিকের মৃত্যু

চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়াও নির্মাণ খাতে ৭ জন ও পোশাক খাতে ৩ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এই দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে আহত হয়েছেন ১৭০ জন।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লিখিত তিনটি খাতের বাইরে অন্যান্য খাতে ২১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময়ে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন ৭০ জন পরিবহন খাতের, ১৮ জন নির্মাণ খাতের এবং ১২ জন পোশাক খাতের। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্যান্য খাতের ৭০ জন শ্রমিক। জাতীয় দৈনিকগুলোয় প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বিলস এ জরিপ পরিচালনা করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক স্মৃতি দিবস পালিত হয়। যেখানে কর্মক্ষেত্রে নিহত, পঙ্গু, আহত বা অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। বাংলাদেশেও গতকাল দিবসটি পালিত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ