লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে জাকির হোসেন নামে এক যুবদল নেতাকে প্রতিপক্ষ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার মিরিকপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবদল নেতাকে নোয়াখালী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন সদর উপজেলা (পূর্ব) স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। 

জাকির (৩৫) বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ও একই গ্রামের আলী আহম্মদ সওদাগরের ছেলে।

ভুক্তভোগী জাকির অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে তার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনোয়ার হোসেন, কবির হোসেন ও কৃষক দলের নেতা মিঠুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। শনিবার রাতে মিরিকপুর বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজন হামলা চালান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনোয়ার হোসেন, কবির হোসেন ও মিঠু। তাদের ভাষ্য, জাকিরের ওপর কে বা কারা হামলা করেছে বিষয়টি তাদের জানা নেই। এ ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা।

স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর স্বপন বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। হামলার ঘটনায় যদি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা পরিচয়ে কেউ জড়িত থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন।

এদিকে ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বদল দল ন ত য বদল ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ