১৮ জনকে আসামি করে আদালতে দুই অভিযোগপত্র
Published: 19th, January 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জন হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে চকরিয়া থানা পুলিশ। রোববার কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা ও অস্ত্র মামলায় ১৮ জনকে আসামি করে পৃথক অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়লেও আসামিদের পরিচয় জানা যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা অনুপ কান্তি চৌধুরী ও জেলা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন কেউই নাম বলতে চাননি। তবে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে অভিযানের সময় ডাকাতের গুলি ও ছুরিকাঘাতে সেনা কর্মকর্তা তানজিম সরোয়ার নির্জন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী চকরিয়া থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা করে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যৌথ বাহিনী ওই সময়েই চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রায় চার মাস তদন্ত শেষে চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কান্তি চৌধুরী আজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। বিচারক আনোয়ার কবির পরে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক ৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ও সম্পদ ক্রোকের পরোয়ানা জারি করেন। অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র নেওয়ার এখতিয়ার না থাকায় নথি কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।